⁨বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও জাতীয় ঋণ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ইউনূসের অপতথ্য প্রচারকারীদের বিপরীতে কিছু সঠিক তথ্য

131

Published on এপ্রিল 21, 2025
  • Details Image

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ৮ মাসে ইউনূসের আমলে এক টাকাও বৃদ্ধি পায়নি। ২০২৪-এর জুলাই শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলার। ৮ মাস পরে এসে ২০২৫-এর মার্চের শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.৩৮ বিলিয়ন ডলার।

শেখ হাসিনার আমলে দেশে অনেক ঋণ করা হয়েছিল—এমন বক্তব্যগুলো মিথ্যা। কারণ ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন ডেট টু জিডিপি রেশিও (Debt to GDP Ratio) ছিল ৩৪% এবং ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপি রেশিও ছিল ৩৬%। কাজেই বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল—যৌক্তিকভাবে এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।

কেন বলছি এ কথা? কারণ আইএমএফ-এর বিবেচনায় একটি দেশকে ঋণগ্রস্ত বলা যাবে, যদি সেই দেশের Debt to GDP Ratio ৭৭% অতিক্রম করে, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মোটেও ঘটেনি। বরং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আমলে Debt to GDP Ratio ছিল আইএমএফ কর্তৃক বিবেচিত থ্রেশহোল্ড পয়েন্ট বা অতিক্রম সীমার বহু নিচে, মাত্র ৩৬%।

শেখ হাসিনার সরকার অনেক ঋণ করে রেখেছে বা দেশকে ঋণগ্রস্ত বানিয়েছে—এসব কথা বলা যেত যদি Debt to GDP Ratio শেখ হাসিনা ৭৭% এর উপরে নিয়ে যেতেন। কিন্তু তা তো হয়ইনি, বরং শেখ হাসিনা Debt to GDP Ratio ৭৭% এর অনেক নিচে রেখেছিলেন।

সত্যি কথা হলো, শেখ হাসিনা বিশাল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়ে, দেশের অর্থনীতির আকার ২০০৯ সালের ৯৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০২৪ সালে এসে ৪৬৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছেন এবং Debt to GDP Ratio মাত্র ৩৬ শতাংশ রেখেছিলেন—এটা একটা বিশাল আশ্চর্যের বিষয়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখলে যে কেউই তা অনুধাবন করবে। শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫৪০ ডলার থেকে বেড়ে ২৮০০ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক নীতির কারণে জাতিসংঘের তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে।

অনেকেই বলে, আমরা চলে যাওয়ার পর গত ৮ মাসে ইউনূস সরকারকে আমাদের করা ঋণ শোধ করতে হয়েছে। এটি একদম বাজে কথা। ঋণ শোধ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতিটি দেশেই তা করে। আমরাও ধারাবাহিকভাবে ঋণ শোধ করে যাচ্ছিলাম, গত ৮ মাসেও তাই হয়েছে। আমরা থাকলেও এই ঋণ শোধ হতো। আমরা ঋণ করেছি, ঋণ শোধ করেছি, একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছি।

কিন্তু কথা হলো, গত ৮ মাসে নাকি কোনো অর্থ পাচার হয়নি—তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক পয়সাও বাড়েনি কেন?

- মোহাম্মাদ আলী আরাফাত ,সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত