613
Published on আগস্ট 17, 2023২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয় জেএমবি। তবে এরআগে, ২০০৪ থেকে ভয়ংকর হয়ে ওঠা বাংলা ভাইয়ের এই বাহিনীর হাতে সেবছর কমপক্ষে ৩২ জন হত্যার শিকার এবং শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গু হয় বলে তথ্য উদঘাটন করে গণমাধ্যম।
তাদের মধ্যে- ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল ওয়াসিম ওরফে ওসমান বাবুকে, ১১ এপ্রিল বাগমারার কনোপাড়ার গোলাম রব্বানী মুকুলকে উপরে লটকিয়ে, ২০ এপ্রিল দূর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজাহার আলীকে, ২২ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগরের বেলঘরিয়ার মোশারর হোসেন, নাটোরের পীরগাছার সাইফুর, ২৩ জুলাই নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ির দীপংকরকে একইভাবে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও ২৭ এপ্রিল নওগাঁর আত্রাই কাশিয়াবাড়ির দীপংকর রায় ও ইউপি দফাদার, এপ্রিল মাসেই দূর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজাহার আলীকে নির্যাতন করলে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন। ১ মে আত্রাইয়ের ভোঁপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ ফরিদ, অজ্ঞাত ৩ ব্যক্তি, রাজশাহীর বাগমারার নীমপাড়ার রাবেয়া ১৩ মে ধর্ষণের কারণে ১৪ মে আত্মহনন করে।
১৫ মে বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নওগাঁরা রানীনগরের সফিকপুরের আবদুল কাইয়ুম বাদশাকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা, ২৪ জুন রানীনগরের সিম্বা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা খেজুর আলীকে টুকরো টুকরো করে কেটে, রাণনিগরের বড়গাছার আফজালকে, ৩০ জুন গাছে ঝুলিয়ে বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয় বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইয়াসিন আলী, ২৫ জুন নাটোরের বাসুদেবপুরে অজ্ঞাতনামা ৩ ব্যক্তিকে হত্যা, ১৪ নভেম্বর রানীনগরের ভেটি ক্যাম্পে ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া, ২৭ নভেম্বর বাগমারার তাহেরপুরের বিষ্ণুপুরে বাসদ (মাহবুব) নেতা আলী আকবরকে, ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি বাগমারার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুরকে হত্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধাকে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়।
এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে বোমা হামলার পর, ১৪ নভেম্বর জেএমবি আত্মঘাতী বোমা হামলায চালিয়ে ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে হত্যা করে। তাদের হামলার প্রকাশ্য শিকার হয়ে পরবর্তীতে প্রাণ হারান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন আজাদ।