1140
Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2023২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের হয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সহযোগিতায় দলে দলে তালেবান জঙ্গিরা অনুপ্রেবশ করে দেশে। সেসময় আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার আশঙ্কায় যে আফগানরা দেশ ছাড়ে, তাদের মধ্যে মিশে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তালেবান জঙ্গিরাও। এসময় এসব জঙ্গিরা বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীদের জন্য টাকা ও অস্ত্র নিয়ে আসে। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে আফগানিস্তানের তালেবানদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহের জন্যেও পাঠানো হয় সেসময়।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়, তালেবান জঙ্গিদের অস্ত্র ও অর্থ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোটে জেতানো। তাহলে পরবর্তী সময়ে তারা বাংলাদেশে বসে নিরাপদে কার্যক্রম চালাতে পারবে। নড়াইল-২ আসনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে মনোনয়ন পাওয়া মুফতি শহিদুল ইসলামের কোটি কোটি টাকা খরচের বহর দেখলে এসব তালেবানি অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তালেবানরা চায় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব। একারণে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা শহীদুলের পেছনে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত থেকে আসা তালেবানদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে নাশকতার জন্য প্রস্তুত হয়েছে কয়েক হাজার বাংলাদেশি তালেবান। মতিউর রহমান নিজামী, আবদুস সোবহান, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কামরুজ্জামান, আব্দুল আলিম, আব্দুল খালেক প্রমুখ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের হয়ে মাঠে নামে তালেবানরা। এরা পাবনা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, শেরপুর থেকে মনোনয়ন নেয়। এই প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে না পারলে গোলযোগ সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের নীলনকশাও করে তালেবানরা। এদের জিতিয়ে আনতে পারলে তারা ভবিষ্যতে তালেবানদের বাংলাদেশে বসে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে দেবে। একারণে বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এতো অর্থ খরচ করেছিল তালেবানরা।
এর কুফল হিসেবে আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় তালেবানদের আনাগোণা বেড়ে যায়। তালেবানদের কারণে ইউরোপ-আমেরিকার সরকারপ্রধানরা তাদের বাংলাদেশ সফল সংক্ষিপ্ত এবং বাতিল করেন অনেকে। দেশজুড়ে উত্থান হয় বাংলা ভাইসহ অনেক রকম জঙ্গিবাদী সংগঠনের। বিশ্বের বুকে জঙ্গিবাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয় বাংলাদেশ। এরপরেও শুধু ক্ষমতায় থাকার লোভে এসব উগ্রবাদী জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গেছে খালেদা জিয়ার সরকার।