জাতীয় নির্বাচন ২০০১: প্রশাসন, পুলিশ, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাদের প্রধান টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী

1720

Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2023
  • Details Image

জাতীয় নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা মেরে তারা যেমন হাজার হাজার পরিবারকে পথে বসিয়েছে, তেমনি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেও জেলায় জেলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঠেকাতে প্রয়োজনে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনাও করেছিল তারা। জনমনে ভীতি সৃষ্টির জন্য প্রতিটি এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মহড়া এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালায় এই চক্র।

২০০১ সালের ১৩ এবং ১৪ সেপ্টেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে এসব সংবাদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। জানা যায়, নিজেরাই এনজিও খুলে সেগুলোর মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং কেন্দ্র দখলকে জায়েজ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের। এমনকি অক্টোবরের নির্বাচনের আগে আগে দেশব্যাপী কমপক্ষে পাঁচ হাজার প্রগতিশীল নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের নীল নকশাও করে তারা। যাতে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ভালো প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।

এমনকি দেশের জেলাশহরগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে সশস্ত্র শোডাউন করিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভোলা-২ আসনের দৌলতখান ও বোরহানউদ্দীন উপজেলায় কমপক্ষে ১০০ বহিরাগত সন্ত্রাসী নামায় তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দীন আল মামুনের ভাই হাফিজ ইব্রাহিম। যশোরের বাবু নামের সুপরিচিত সন্ত্রাসী বাহিনীর এই লোকেরা শটগান, পিস্তল, রিভলবার নিয়ে পুলিশ ও বিডিআর-এর সামনেই ভোলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

নড়াইলের চার থানায় শুধু ২০০১ সালের প্রথম ৯ মাসেই খুন হয়েছে ২৫ ব্যক্তি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতির মধ্যেও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলে পুলিশ। বিএনপি ও তাদের মনোনয়ন দেওয়া জঙ্গিবাদী নেতাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের মহড়ায় নিয়মিত মদত দিতে হয়েছে পুলিশ বাহিনীকেও। জনমনে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয় সেসময়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত