1958
Published on জানুয়ারি 24, 2023জঙ্গিবাদের কারণে নিষিদ্ধ হরকতুল জিহাদের নেতা মুফতি সহিদুল ইসলামকে ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে বিরুদ্ধে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। এরপর সারা দেশ থেকে তালেবানপন্থী মাদ্রাসা ছাত্রদের নড়াইল নিয়ে যায় সহিদুল। সেসময় তারা সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রকাশ্যে অশালীন ও উগ্র বক্তব্য দিতে থাকে। এমনকি গ্রামের মসজিদের মাইক ব্যবহার করেও ভোট চাইতে শুরু করে। ফলে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।
২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে আরো জানা যায়, ২০০০ সালের জুলাই মাসে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান। এরপর হান্নানকে পালাতে সহায়তা করে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও হরকত নেতা এই মুফতি সহিদুল ইসলাম। ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছর কাটানোর পর দেশে ফিরে এক দশক ধরে ফরিদপুরে তালেবানপন্থী উগ্রবাদী আস্তানা গড়ে তোলে সে।
এই জঙ্গিবাদী নেতাকে নরসিংদীতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মনোনয়ন দিয়ে, শেখ হাসিনার নির্বাচনি প্রচারণায় নাশকতার নীল নকশা এঁকেছিল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। এর আগে, একই বছরের আগস্ট মাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রবাদী বক্তব্য দিয়ে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের আহ্বান জানিয়েছিল সহিদুল। পরে সেপ্টেম্বরে তার নাম নরসিংদী-২ আসনের বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মানুষ।
তালেবানদের অর্থায়নে পরিচালিত আল মারকাজুল ইসলামের নেতা এবং হরকাতুল জিহাদের নেতা হিসেবেই সহিদুলকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতো স্থানীয়রা। তাই এই দুর্ধর্ষ তালেবাদ জঙ্গির নাম বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোটের মনোনয়নের তালিকায় দেখে ভীত হয়ে পড়ে নরসিংদীর মানুষ। সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় এটি নিয়ে।
এর আগে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এক দশক ধরে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালায় মুফতি সহিদুল। এসময় তার সাথে পরিচয় হয় আফগানিস্তানি তালেবান কমান্ডার সেলিম শেরকু ও আরাকানি হরকত নেতা মাওলানা কুদ্দুসের সাথে। তারা উভয়েই মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ। উখিয়া ও নাইক্ষংছড়ির গভীর অরণ্যে মৌলবাদী জঙ্গিদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতো তারা।