683
Published on জানুয়ারি 13, 2023২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার পর ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার মিষ্টির দোকান লুট করে উল্লাস করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরপর চট্টগ্রামে ফ্রি কম্পিউটার না দেওয়ায় অপহরণ ও লুট করেছে ব্যবসায়ীর বাসা। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকার ফার্মেসিগুলো থেকে ফ্রি ওষুধ নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের ওপর চাপপ্রয়োগ করতো ছাত্রদল নেতারা। কিন্তু ফ্রি দেওয়া যায় আর কতোদিন! অবশেষে মক্কা ফার্মেসির মালিক ফ্রি ওষুধ দিতে অস্বীকার করায় তার দোকান ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায় ছা্ত্রদল নেতাকর্মীরা।
২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদ থেকে এই তথ্য জানা যায়। শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মামুনের নেতৃত্বে ওষুধের দোকান লুটপাট এবং সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় অবাক হয়ে যায় দেশবাসী।
মক্কা ফার্মেসির মালিক শহিদুল রব পিনু জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে রমনা থানা শাখার বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জরুরি বৈঠক করেছে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।
এদিকে দেশব্যাপী ছাত্রদলের তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীর স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রদল-যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা ধর্ষণ, অপহরণ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে প্রতিটি এলাকার মানুষের মনে ত্রাস সৃষ্টি করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ, মাদক ও নারী নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো তারা। ছাত্রদলের দেখাশোনার দায়িত্ব সরাসরি তারেক রহমান করায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বাধা দিতে পারতো না।