902
Published on জানুয়ারি 10, 2023২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম হামলা চালানো হতো বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত ভাঙচুর করা হতো খালেদা জিয়ার সরকারের নির্দেশে। ঢাকার রাস্তায় মেরে ফেলে রাখা হতো সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা এবং নেত্রীদের। একইভাবে দেশের অন্য স্থানগুলোতেও দলীয় কার্যক্রম চালাতে গেলে হামলার শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
২০০৪ সালের (২০ এপ্রিল) প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজশাহীতে যুবলীগের কাউন্সিল শেষে ঢাকায় ফেরার সময় যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের গাড়িবহরে বোমা হামলা চালায় যুবদল, ছাত্রদল ও শিবির। ভেঙে ফেলা হয় পাঁচটি গাড়ি। ধারালো অস্ত্র ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মীকে। বোমা ও গুলিতে আহত হয় ৫ জন।
সংবাদ জানায়, যুবদল নেতা রাব্বানী এবং দুরুল ও শিবির ক্যাডারদের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে কাজলা রোডে এই সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এরপর যুবদল নেতা দুরুল মতিহার থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামেই উল্টো মামলা দায়ের করেছে!
আবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চালানো হতো ঢাকায়। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলে, সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আটকে রাখা হতো দলটির সভাপতি ও তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে। এভাবেই তৃণমূল পর্যায়ে ঘরে ঘরে গিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাতো বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।