বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার সময়ও শেখ হাসিনাকে বাধা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সরকার

1493

Published on ডিসেম্বর 17, 2022
  • Details Image

২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার গঠনের পর থেকেই তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে খালেদা জিয়ার সরকার। সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে যেমন বাধা দিয়েছে, তেমনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াত হাইকমান্ড। এমনকি আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি ডাকলে দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।

২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রথম আলোর সংবাদ থেকে জানা যায়, মিলিটারি পুলিশের সবুজ সংকেত নেওয়ার পর বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দানের জন্য সেনানিবাস রুট হয়ে যাত্রা শুরু করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু জাহাঙ্গীর গেটে তাকে হঠাৎ করে আটকে দেওয়া হয়। বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, এটা হাই-কমান্ডের নির্দেশ। এর বেশি তারা কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সিনিয়র নেতানেত্রীদের সাথে নিয়ে ঘুর পথে ইজতেমা ময়দানে যান শেখ হাসিনা।

এছাড়া, পরবর্তীতেও এভাবে শেখ হাসিনাকে হেনস্তা করা অব্যাহত রাখেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০০২ সালের ১৭ মার্চ জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে জানা যায়, বিয়ের দাওয়াতে যোগ দিতে যাওয়ার সময়েও শেখ হাসিনাকে বাধা দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিমান বাহিনীর 'ফ্যালকন হল' আয়োজিত ওই সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, উচ্চ-পর্যায়ের ক্লিয়ারেন্স না থাকায় তাকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

৪ ডিসেম্বর ২০০১ সালের প্রথম আলো পত্রিকা জানায়, বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীকেও প্রত্যাহার করে নেয় খালেদা জিয়া। এমনকি জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার নিরাপত্তা আইনটিও বাতিল করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। এরপর একের পর এক হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর। এমনকি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে প্রাকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্য উগ্রবাদীদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা করা হয়, নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে প্রাণে রক্ষা করেন। কিন্তু তার কান গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নিহত হন ২৪ জন এবং আহত হন প্রায় ৩০০ জন।

এই ন্যাক্কারজনক হত্যাচেষ্টার সময় বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরী দেশে অবস্থান করছিল। হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সে আবার বিদেশ চলে যায়। এমনকি হামলাকারীদের অন্যতম তত্ত্বাবধানকারী মাওলানা তাজউদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিরাপদে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় তারেক রহমান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই মামলার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারেক রহমানের সহযোগিতায় তারা পাকিস্তান থেকে গোলাবারুদ এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছিল হামলার জন্য। অথচ খালেদা জিয়া এই ঘটনার পর জজমিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত