২০০১ থেকে ২০০৬: সমুদ্র সৈকতের ১০০ একর জমি দখল করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতারা

1171

Published on নভেম্বর 30, 2022
  • Details Image

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে তার ঘনিষ্ঠদের পানির দামে প্লট দিয়ে সরকারের হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেন। এমনকি তার আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের বিএনপি নেতাদের চাহিদামতো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে ১০০ একর সরকারি জমি দখল করার ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। প্লট বরাদ্দের নামে শত একরের এই জায়গা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা।

সৈকতের জমি দখলকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলো-  খালেদা জিয়ার ভাই ও বিএনপি নেতা সাঈদ এস্কান্দার, তারেক রহমানের আত্মীয় সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিমান মন্ত্রী মীর নাসির, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল খান; তারেক রহমানের বন্ধু মামুনের ভাই এমপি হাফিজ ইব্রাহিম,  ইকোনো বলপেনের মালিক এমপি কাজী সালিমুল হক, বাবুল গাজী, আশরাফ হোসেন, হাবীবুন নবী খান সোহেল প্রমুখ প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা।

২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হোটেল মোটেল তৈরির নামে ১০০টি প্লট করার কথা বলে সমুদ্রসৈকতের ১০০ একর জমি দখল করে সৈকতের পরিবেশ নষ্ট করে এই বিএনপি নেতারা। বরাদ্দ নেওয়ার পর অবৈধভাবে অধিকাংশই চড়া দামে এসব জমি বিক্রি করে দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হন। খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তারেক রহমানের সহযোগিতায় এবং ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সহায়তায়, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সমুদ্রের পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় অবৈধভাবে এসব জমি বরাদ্দের বন্দোবস্ত করেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, তাদের অনেকের নামেই প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তারা শুধু স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। হাওয়া ভবনের কথা বলে এসব প্লট তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে প্রতি প্লট তিন থেকে চার কোটি করে বিক্রি করেছেন সালাহ উদ্দিন। এমনকি তাদের কোনো টাকা পয়সাও দেওয়া হয়নি। 

ব্যবসায়ীরা জানান, সমুদ্র ঘেঁষা ১০০ একর জমিতে ১০০টি প্লট দখল করে তারা ওখানে বিএনপি পল্লী গড়ে তুলেছে। সরকার যদি ন্যায্যভাবে এসব অবৈধ প্লট পুণরায় ন্যায্যভাবে বরাদ্দ দেয়, তাহলে সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, এই সালাহ উদ্দিন আহমেদ তারেক রহমানের এতোটাই ঘনিষ্ঠ যে- ঢাকা শহরকে যখন চারভাগে ভাগ করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল তারেক, তখন যে চারজন বিএনপি নেতাকে চার অঞ্চল দেখাশোনার দায়িত্ব দেন সে, তাদের অন্যতম একজন হলো সালাহ উদ্দিন। ফলে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ঢাকায় বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর বির্স্তীর্ণ এলাকা দখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করে সালাহ উদ্দিন। এছাড়াও ভূমিউপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মাধ্যমে নাটোর-পাবনা-রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে বাংলাভাই এবং উগ্রবাদী জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতো তারেক। সরাসরি সরকারের মদত থাকায় বাংলা ভাইয়ের মতো খুনি জঙ্গিদের সাথে প্রাকশ্যে নিজ বাসভবনে বৈঠক এবং তাদের মধ্যে অর্থ বিতরণ করতেন এই বিএনপি নেতা দুলু।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত