1839
Published on নভেম্বর 7, 2022খালেদা জিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও বরিশালের সিটি মেয়র মজিবর রহমান সারোয়ারের দুর্নীতির রেশ পৌঁছে যায় দেশের সীমা পেরিয়ে বিদেশেও। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সীমাহীন লুটপাট ও অর্থ পাচারের কারণে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর দুর্নীতিবাজদের ধরপাকড় শুরু হলে, তাদের অপকর্মের তথ্যপ্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যমগুলো।
২০০৭ সালের ৮ জুলাই যুগান্তর পত্রিকার খবরে জানা যায়- বিএনপি নেতা আলতাফ ও সারোয়ারের বাড়ি-গাড়ি-মিল-কারখানা এবং অঢেল টাকার খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু এসব অর্থের উৎস খুঁজে পেতে হিমশিম খেয়েছে তারা। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ভূমি দখল করে কোটি কােটি টাকার মালিক হয়েছে এই নেতারা।
আলতাফ চৌধুরীর গুলশানে ১০ কাঠা জমির ওপর যে বাড়ি, সেটার ৫ কাঠা সরকারি জায়গা। সরকারের প্রভাবে ভূমি দখল করে বাড়ি করেন তিনি। এছাড়াও পটুয়াখালি এবং মির্জাগঞ্জে তার একাধিক বাড়ি ও জমি রয়েছে। পটুয়াখালীর কাজীপাড়ায় যে বাড়ি নির্মাণ করেন, তার আগে অন্য একজনের বাড়িঘর ভেঙে ফেলেন। এছাড়া ঢাকায় ভাইদের নামে প্লট ও ফ্লাট অর্জন করেন। মন্ত্রী থাকাকালে জিএসপি লিজিং কোম্পানির ছদ্মবেশে কয়েক শ' কোটি টাকার মালিক হন তিনি। এমনকি পাকিস্তানে তার একটি স্পিনিং মিলসহ কয়েকটি দেশে তার আরো ব্যবসা থাকার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে কোটি কোটি টাকা সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিকে বরিশালের মেয়র মজিবর রহমান সারোয়ারের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৬টি দলিল ও কোটি টাকার বান্ডিল পাওয়া যায়। দলিলগুলোর বিপরীতে যে জমি ও সম্পদ, তার মূল্য শত কোটি। এমনকি ৫ বছরে ইসলামি ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পায় দুদক। নগরীতে নিজের বসতবাড়গি যেটা নির্মাণ করেছেন মেয়র, সেটাও অর্পিত সম্পত্তির ওপর। অবৈধভাবে ভূমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে এই বিএনপির এই নেতা। ঢাকার সিদ্বেশ্বরী ও গুলশানে ফ্লাট এবং বনানী ও উত্তরায় প্লটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর বাইরে ঢাকার দুটি ব্যাংকে তার বিপুল অঙ্কের অর্থ রয়েছে, যেগুলোর কোনো বৈধ উৎস নাই।
বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে এভাবেই তাদের মন্ত্রী থেকে নেতা-কর্মীরা সবাই লুটপাট করে সর্বস্বান্ত করে বাংলাদেশকে।