1318
Published on নভেম্বর 7, 2022২০১৪ ও ২০১৫ সালে দুই দফায় দেশজুড়ে পেট্রোল বোমা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত সাধারণ মানুষকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে এই নারী-শিশু ও কর্মজীবী অসহায় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে তারা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসহায় শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী মানুষকে নির্মমভাবে খুন করে একেকটি পরিবারকে পথে বসায় বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিবিদ নামক দুর্বৃত্তরা।
২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমিল্লায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ওই বাসটি চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অতিক্র করার সময় এই নৃশংস হামলা চালায় বিএনিপ-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। সাথে সাথে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে বাস। অনেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বাসের ভেতর। ফলে বাবা-মেয়ে, মা-ছেলেসহ ৭ জন পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ হয় ১৯ জন।
স্থানীয়রা জানান, চৌদ্দগ্রামে জামায়াত-শিবিরের আধিপত্য প্রবল। রাত তিনটার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি সড়কে একটি লোকাল বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সেখানে গেলে পরে হাইওয়েতে এই নাশকতা ঘটায় তারা।
এছাড়াও একই দিন বরিশালে ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলায় ২ জন, লক্ষীপুরে পিকআপ ভ্যানে হামলায় ১ জন এবং যশোরে ২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও হামলায় ময়মনসিংহ ফায়ারসার্ভিস কার্যালয়ের ভেতরে একটি গাড়ি, কিশোরগঞ্জে কাভার্ড ভ্যান, গাজীপুর-গাইবান্ধা-ঢাকা-ভৈরব-বাগেরহাটে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত। তাদের অতর্কিত পেট্রোল বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাবনা-বগুড়া-নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কিছু স্থানের মানুষের ব্যবসা ও দোকানপাট। আগুনে দগ্ধ হয় প্রায় অর্ধশত ড্রাইভার-হেলপার, রিকশাচালক ও ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।