বিএনপি-জামায়াত আমলে ঈদ মানেই চাঁদাবাজি, বাধা দিলেই হত্যা-অপহরণ-অমানবিক নির্যাতন

3378

Published on অক্টোবর 27, 2022
  • Details Image

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় প্রতি ঈদের মধ্যে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশত মানুষকে হত্যা এবং সহস্রাধিক মানুষকে আহত হতো। ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সরাসরি প্রকাশ্যে এসব হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতো। ২০০৩ সালে কোরবানি ঈদের সময়, এতিমখানার শিশুদের জন্য চামড়া সংগ্রহ বিষয়ত বৈঠকে থাকা অবস্থায়, দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে মাদ্রাসার ভেতরে গুলি করে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। এছাড়াও সারা দেশে ঈদের আগের-পরের মোট ৫ দিনে ২৩ জনকে হত্যা করে শিবির-ছাত্রদলের নেতারা।

২০০৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশ হয়। জানা যায়, মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দেওয়ায় চট্টগ্রাম উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ব্যবসায়ী সোলাইমান খানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শিবির নেতা গিয়াসউদ্দীন গং।

আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক সিদ্দিকীর বাবা মাওলানা জাফর আহমেদ সিদ্দিকী হাটহাজারীর জিয়াউল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। ২৩ তারিখ রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দীনের কক্ষে সভা করছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের ১১ জন। মাদ্রাসার এতিমখানার তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন। কিন্তু এরমধ্যেই শিবিরের সন্ত্রাসীরা সেখানে প্রবেশ করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পৃষ্ঠপোষক ফারুক ও সোলাইমানকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০টি গুলির খোসা উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় শিবির ক্যাডার গিয়াস হাজারিকা, আইয়ুব আলী রাশেদ, আবদুল মজিদ ও মো. জাভেদকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এর আগে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য গিয়অস ও আইয়ুব যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিল। কিন্তু জোট সরকারের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীদের সুপারিশে তারা আবার ছাড়া পায় এবং এই বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এছাড়াও ঈদের দিন সন্ধ্যায়, নওগাঁর আত্রাইয়ের মদনডাঙ্গার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ কর্মী গিয়াসউদ্দীনকে প্রথমে গুলি ও পরে জবাই করে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। মাস চারেক আগে গিয়াসউদ্দীনের ভাইয়ের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাট ও মারধর করেছিল জোট সরকারের সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও পটুয়াখালী, নাটোর, দিনাজপুর, ভোলা, পিরোজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বান্দরবান, শেরপুর, বাগেরহাট, খুলনা, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি ও জবরদখল চালায় ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। কেউ তাদের বাধা দিলেই তাদের গুলি করে অথবা জবাই করে হত্যা করে তারা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত