1327
Published on অক্টোবর 14, 2022২০০১ থেকে ২০০৬ সালে পর্যন্ত টানা পাঁচ বছরে ব্যাপক সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতির পর জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার আগে আগে গণহারে নিয়োগ বাণিজ্য করে গণমানুষের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তথ্যপ্রমাণসহ ২০ হাজার কর্মচারী নিয়োগে এই দুর্বৃত্তায়নে চারশ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় সাংবাদিকরা।
২০০৬ সালের ১৯ জুলাই এর দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় এই সংবাদ উঠে আসে। জানা যায়, ক্ষমতা ছাড়ার আগে আগে পিএসসির মাধ্যমে ৩০০ উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় জোট সরকার। ভোটে কারসাজি করার লক্ষ্যে মাত্র এক মাসের মধ্যে নিয়ৈাগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সরকার নিয়োগপত্র তুলে দেয় ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের হাতে। এছাড়াও বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও প্রশ্নফাঁস এবং দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়া হয় তারেক রহমানের দেওয়া তালিকা অনুসারে।
এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, স্কুল-কলেজ ও পুলিশে ২০ হাজারের অধিক নিয়োগ দেয় তারা। ক্ষমতার শেষের তিন মাসে এসে দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয়ের টার্গেট করে খালেদা জিয়ার সরকার।
সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, তালিকা মেনে সব নিয়োগ প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা চাপ দিচ্ছিলেন। এছাড়াও মন্ত্রী-এমপিদের সহকারী ও রাজনৈতিক একান্ত সচিবরাও বিরাট বিরাট তালিকা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে বাধ্য করছেন তাদের। তাদের সুপারিশ মানার জন্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে।