1631
Published on অক্টোবর 14, 2022বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালে সারা দেশে আলোচিত গম কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা ছিল পাবনার সুজানগরের বিএনপির সাংসদ সেলিম রেজা হাবিব। এ ছাড়া উপজেলা জুড়ে গড়ে তুলেছিল নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর হাতে বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, ঠিকাদারি এমনকি খুন পর্যন্ত হয় বলে জানা যায় প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
২০০৭ সালে ১২ ই ফেব্রুয়ারি সেলিম রেজা হাবিবের ক্ষমতার দাপটের চিত্র তুলে ধরে দৈনিক প্রথম আলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, জোট সরকারের পাচ বছর পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপির এই কুখ্যাত সাংসদ। প্রতিষ্ঠিত এক ঠিকাদার নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সাংসদ নিজে ঠিকাদারি কাজ না করলেও ২০ শতাংশ কমিশন তাকে দিতে হতো। সাংসদ নিজে পদ্মা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ, নাজিরগঞ্জ বাজার থেকে আমিনপুর সড়ক তৈরির কাজ করেন। প্রায় ১০ কোটি টাকার এসব কাজ তিনি ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে যাচ্ছেতাইভাবে করেন। ক্ষমতা্র শেষ সময়ে অনুগত ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ১০০ বান্ডিল করে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
জোট সরকারের আমলে সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক বারু, দুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য টিপু বিশ্বাসসহ সুজানগরে ২০ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক ও নেতা-কর্মী খুন হন। এসব হত্যায় জড়িত বলে সাংসদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের নামে থানায় অভিযোগ আছে। কয়েকটি হত্যার পর নিহতের পরিবার মামলা করারও সাহস পাননি।
২০০১ সলের নির্বাচনের পরপরই সেলিম রেজার বাহিনীর হাতে বিরোধীপক্ষের হাজার হাজার বাড়িতে লুটপাট ভাঙুরের ঘটনা ঘটে।