1255
Published on অক্টোবর 14, 2022দেশের কোন স্তরের , সামাজিক বা অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল, অসচ্ছল কোন মানুষই বিএনপির অত্যাচার থেকে মুক্ত ছিল না। ২০০১-২০০৬ সাল তেমনই এক অন্ধকার যুগ ছিল। ত্রাণের টিন, চাল, গম এসবের প্রতি জোট সরকারের নেতাকর্মীদের একটু বেশিই আকর্ষণ ছিল যেন।
২০০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদে জানা যায়, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের বিএনপির সাবেক সাংসদ হারুনুর রশিদ ও পটুয়াখালীর বাউফলে সাবেক সাংসদ শহিদুল আলম তালুকদারের বাড়িতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীরা অভিযান চালিয়ে সারকারি ত্রানের ১৯ টি ঢেউটিন এবং বিনামূল্যে বিতরণের ক্রীড়াসামগ্রী উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ছিল ক্রীড়া পরিষদের বিনামূল্যে বিতরণের জন্য রাখা তিন বস্তা ক্রীড়াসামগ্রী, কিছু কম্বল, লুঙ্গী ও একটি মোটরসাইকেল।
একই প্রতিবেদনে আরেকয়ি সংবাদ আছে যেখানে বলা হচ্ছে জয়পুরহাট উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে ত্রাণের টিন দিয়ে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা। সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি কার্যালয়টি ভেঙে টিনগুলো বাড়িতে নিয়ে যান। অভিযান চালিয়ে ত্রাণের ৭২টি টিন উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাটেও কিছু ত্রাণের টিন উদ্ধার করে পুলিশ। মহেন্দ্রনগর মহাবিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে তারা ৪০টি ত্রাণের টিন উদ্ধার করেন। টিনগুলো জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেনের।
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাইগরপাড়া গ্রামে মাদ্রাসাশিক্ষক এয়াজেদ মিয়ার বাড়ি থেকে ৩৩টি ত্রাণের টিন উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ছিলেন ঝিনাইগাতী থানা ছাত্রদলের সভাপতি রমজ্জান আলীর শ্বশুর।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গ পৌরভবন এবং পৌরসভার গুদাম থেকে ত্রাণের ২০০টি টিন আটক করে পুলিশ। টিনগুলা পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর মহিউদ্দিনের বলে সংবাদে বলা হয়।
এই হলো বিএনপি'র নেতাদের গরীবের হক চুরির কিছু নমুনা। সামান্য টিনের লোভই যারা সামলাতে পারেনা তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের কোন খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখবে?