1002
Published on সেপ্টেম্বর 29, 2022যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা শোষিতদের নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলিস্থানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও অসহায় দুঃস্থদের মাঝে শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে সভার পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
ফজলে শামস্ পরশ আরও বলেন, ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ নির্বাসনে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উধাও হয়ে গিয়েছিল। কাজেই শেখ হাসিনার ফেরা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ ফেরা। কিন্তু কেমন ছিল শেখ হাসিনার দেশে ফেরা? সবাই যখন দেশে ফিরলেন, সেটা এমন এক ফিরে আসা যার কেউ নাই। তিনি দেশে ফিরেছিলেন স্বজন হারানো শ্মশানে। এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ ছাড়া শেখ হাসিনার আর কেউ ছিল না। তাই তিনি এসেছিলেন বাংলার জনগণের কাছে, যেই জনগণকে তাঁর পিতা জীবন দিয়ে ভালোবেসেছেন, সেই জনগণের কাছে। শেখ হাসিনা যদি হাল না ধরত ’৮১ সালে তাহলে এদেশে মিলিটারি শামন যুগ যুগ ধরে থাকতে পারতো, এমন উদাহরণ আছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত সমাজ সৃষ্টির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, আর জননেত্রী শেখ হাসিনা শোষিতদের নেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয় প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, যেন কোন মানুষ ঘরহীন না থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। যার ফলে অসংখ্য টিভি চ্যানেল এবং দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। করোনা মহামারি মোবাকিলার সফলতায় ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব অর্জন, খাদ্য উৎপাদন ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই দেশে গণশিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা পৃথিবীর নামকরা পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে পরিচিত করেছে এক সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। তার প্রতিটি চিন্তায় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, এটিই তার ধ্যান-জ্ঞান। বঙ্গবন্ধু যেমন আজীবন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ঠিক একইভাবে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ নিজেকে বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বার বার এদেশে প্রয়োজন, এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে ভিক্ষুকের দেশ থেকে মর্যাদাশীল দেশে পরিণত করেছেন। যেভাবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র, বিদেশী কুটনৈতিকদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশটিকে তিলে তিলে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড় করিয়েছেন। তার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। যে মানুষটি বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে তার পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে আপনাদের কাছে ছুটে এসছিলেন। যে মানুষটি দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তার চিন্তায় সার্বক্ষণিক কর্মে ব্যস্ত, সেই মহান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনে বলতে চাই, বিএনপি-জামাত আমার প্রিয়নেত্রী ও এদেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের টাকা পাচার করে লবিষ্ট নিয়োগ করছে। এই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত নানা মুখী ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীর দল যেন সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি করতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেখানেই বিএনপি-জামাত দেশের সম্পদ ও জনগণের জানমালের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেখানেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফরিদ রায়হান, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান জীবন, আলমগীর হোসেন শাহ জয়, হিমেলুর রহমান হিমেল, নির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জি. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এ বি এম আরিফ হোসেন, মোঃ বজলুর করীম মীর, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব আরু, কেন্দ্রীয় সদস্য সৌরিং আরেং সেং, ডাঃ মফিজুর রহমান জুম্মা, নাজমুল হাসান, মোঃ কাইফ ইসলাম, মোঃ রিপন শেখ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, মোঃ কামাল উদ্দিন খান, দ্বীন মোহাম্মদ খোকা, মাহবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মোঃ মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন সায়মন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক এবাদুল হক সবুজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান শুভ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোফরান গাজী, ধর্ম সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম খা, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামানসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডসমূহের নেতৃবৃন্দ।