রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

551

Published on জুন 12, 2022
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, কারাবন্দি থাকার সময়ে বর্তমান চলার পাথেয় অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। কে আপন, কে পর, বিশদভাবে ভাবার সময় পেয়েছিলেন, তার প্রমাণ আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শনিবার রাত ৮টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্ন ১৯৯৬ সালে বাস্তবায়ন শুরু করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলাফল আমরা পাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। উন্নয়নের এক বড় প্রমাণ আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা রকমের ষড়যন্ত্রের আভাস আমরা পাচ্ছি। বিএনপি ছোট ছোট দল নিয়ে জোট করছে। যতই জোট করেন, কোনদিন সফল হবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতেও রাজপথে ছিল, বর্তমানে আছে, আগামীতেও থাকবে।

সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র মুক্তির মধ্যে দিয়ে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র আজ মুক্তি পেয়েছিলো। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বারবার বাধাগ্রস্থ করেছিলো সামরিক সরকাররা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলো, যে ধারা সামরিক শাসক এরশাদ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন তা কখনই সহজ ছিলো না। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কখনও রিক্সায়, কখনও পায়ে হেঁটে তৃণমূলের মানুষের সাথে কথা বলে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের মুক্তি হলেও বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার আবার মুখ থুবরে পড়ে। বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলের নেতা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে চূড়ান্ত লক্ষ্যে উপনীত হন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন বলেই আজকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্বোধনের মধ্যে দিয়েই অনেক মিথ্যাকে পরাভূত করে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময়ই সত্য ও সুন্দরের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন সবকিছুই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তাদের একটি গৌরবান্বিত ইতিহাস আছে। ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ তথা আজকের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এই সবকিছুই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে। আমাদের আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া আদর্শ, আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আমাদের একজন জননেত্রী শেখ হাসিনা আছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করতে হয় না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশের উন্নয়নের রাজনীতি, জনগণের ভাগ্যেন্নয়নের রাজনীতি। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি হলো হত্যা, খুন ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক  সিদ্দিক আলম, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, কল্পনা রায়, মজিবুর রহমান, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, মাসুদ আহমেদ, কে এম জুয়েল জামান, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ জালাল মুকুল, সদস্য জাকির হোসেন কিরন, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু সহ নেতৃবৃন্দ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত