2380
Published on মে 7, 2022বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনই ক্ষমতা দখলের জন্য পেছনের দরজা ব্যবহার করেনি, বরং তারা সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি বা এটি কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে তৈরী করা কোন সংগঠনও নয়।’
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আজকে নির্বাচনে যতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা আওয়ামী লীগই করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদেরই দাবি ছিল, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটা তালিকা এবং এখনকার ইভিএম। অর্থাৎ মানুষ শান্তিতে ভোট দেবে সাথে সাথে ভোটের রেজাল্ট পাবে। যাতে মানুষের ভোটের অধিকারটা বলবৎ থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ যদি আমাদের ভোট দিতে না চায়, দেবেনা। আমরা আসবো না ক্ষমতায়। কিন্তু জনগণের ভোট প্রয়োগ সত্ত্বেও অতীতে বারবার চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এই সংগঠন মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং এই সংগঠন মাটি ও মানুষের জন্যই কাজ করে তা আজকে প্রমাণিত।
ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় বসানোয় দলের পক্ষে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর ফলে (আ.লীগকে ক্ষমতায় রেখে) গত ১৩ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ আ.লীগ এদেশের জনগণ ও এই মাটির দল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান আর্মি রুলস এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে এ দেশে ভোট কারচুপির সংস্কৃতিটা শুরু করে। আর এভাবেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে সব সময় ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ভোটের পার্সেন্টেজের দিক থেকে আওয়ামী লীগ কখনো পেছনে ছিলনা। কিন্তু বার বার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পেছনে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
আর শক্ররা কখনো ক্ষতি করতে পারেনা যদি ঘরের শক্র বিভীষণ না হয়, এটা হলো বাস্তবতা। আর আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এটা সব সময়ই দেখা গেছে। যেটা সব থেকে দুর্ভাগ্য ও দুঃখজনক বিষয়।
শত ষড়যন্ত্রের মাঝেও আওয়ামী লীগ এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংগঠনকে সুসংগঠিত করা আর ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য কি কাজ করবো সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করেই আমরা কাজ করেছি। কেননা জাতির পিতার যে ইচ্ছে এদেশের দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো- তা আমাদের পূরণ করতে হবে।
’৯৬ সালে সরকারে আসার পর জাতির পিতার গুচ্ছগ্রাম কর্মসূচির পদাংক অনুসরণ করে তাঁর সরকারের ঘরবাড়ির পাশাপাশি গৃহহীণদের জীবন জিবিকার ব্যবস্থা করে দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় পরিবারে পাঁচ জন সদস্য ধরা হলেও প্রায় ৪৫ লাখ লোককে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। কোথাও খাস জমি না পেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে এখন জমি কিনেও ঘর তৈরী করে দেয়া হচ্ছে। এই কাজ চলমান রয়েছে এবং ঈদের আগে আমরা প্রায় ৩৩ হাজার ঘর উপহার দিয়েছি। জুলাই মাসে আরও ৩৫ হাজার ঘর আমরা দিতে পারবো। আর বাকী থাকবে ৪০ হাজারের মত। সেটা করতে পারলে ভূমিহীনদের যে হিসেবে আমরা নিয়েছিলাম সে অনুযায়ী আমরা পুনর্বাসন করতে পারবো।
তিনি এ সময় তালিকার বাইরেও কোথাও কোন গৃহহীন বা ভূমিহীন-গৃহহীন রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান। তাহলে সরকার তাদের পুনর্বাসন করবে। কেননা সরকার চায় বাংলাদেশে একজন মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না।