759
Published on এপ্রিল 21, 2022আসলে বিএনপি কখনই চায় না যে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধশীল হোক। বাংলাদেশ সৃষ্টির শত্রুদের সাথেই বিএনপি সখ্যতা বেশি। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। যাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গর্ব, ঐতিহ্য ধুলিস্যাৎ হয়ে যাক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে ছিল বলেই আজকে সেটা সম্ভব হয় নাই। বাংলাদেশ আজকে একটি উন্নয়নশীল দেশ, একটি মর্যাদাশীল দেশ। সামনেও বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাবে। আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকাকে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করবেন। আজ ২০ এপ্রিল বুধবার, দুপুর ১টায় ১০নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার, দারুস সালাম মিরপুর, ঢাকায় (শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও দারুস সালাম থানা সংলগ্ন) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে ঈদ খাদ্রসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।
তিনি আরও বলেন-আপনারা জানেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন যেই সংগঠন দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে বর্তমান যুবলীগেও সেই ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়াস নিয়ে আপনাদের মাঝে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের এই ৭ম কংগ্রেসের মাধ্যমে বর্তমান কমিটি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আমাদের মুল প্রয়াস কিভাবে সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মেহনতি ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাছে দারানো যায় কিভাবে তাদের মুখে হাসি ফুটানো যায় এটাই আমাদের রাজনীতির মুল মন্ত্র এবং আদর্শ। এই আদর্শেই আমরা বিভিন্ন কার্যকলাপ হাতে নেই এবং আজকের এই কর্মকা- হাতে নেই। ইতোমধ্যেই আমরা করোনা প্রাক্কালে মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি, আপনাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমরা অনুভব করি যে, আপনারা আপনাদের দুঃখ কষ্ট হয়তোবা কোন কোন সময় বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে ঈদের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় আপনারা পড়তে পারেন। সেই সমস্যার কিছুটা লাঘব করার জন্য আমি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের আজকের এই আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশ আওয়মী লীগ ঐতিহাসিকভাবেই মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যই রাজনীতি করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাও আমাদেরকে সেই নির্দেশনা এবং সেই গাইড লাইন এবং সেই দিক্ষায় দেয়।
তিনি আরও বলেন-আপনারা দেখেছেন গত ১ যুগে এদেশে যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। আজকে মেট্রোরেল এই মিরপুরের মাঝখান দিয়ে যে মেট্রোরেল ধাবিত হবে এই বছরের শেষে। এই মেট্রোরেলের মাধ্যমে এই মিরপুর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধণ হবে। এই মেট্রোরেল মিরপুর থেকে উত্তরার সংযোগ স্থাপন করবে এবং এই এলাকার আত্মসামাজিক উন্নয়নে এই মেট্রোরেল বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ বছরের জুন মাসেই স্বপ্নের পদ্মাসেতুর শুভ উদ্বোধন ফলে আমাদের দেশের মেহনতি ও শ্রমজীবীসহ সকল শ্রেণীর মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তাই বলতে চাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন যে সংগঠনটি সবসময় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভেবে এসেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে সংগঠনের হাল ধরেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলায়, মহকুমায় সফর করে দুঃখি মানুষের কাছে গিয়েছেন, তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। তিনি জীবনের ১৪ বছর জেল খেটেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের উন্নয়ন হয়েছে। অন্যান্য সরকার তাদের সুবিধার জন্য রাজনীতি করে, তাদের পকেট ভারি করার জন্য রাজনীতি করে। আজকে বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন ঘটবেনা, আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। তারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য, তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য। তাদের নিজেদের কিছু নেতা আছে তাদের ব্যবস্থা করার জন্য। আজকে তাদের নেতা কে হবে, নেত্রী কে হবে তা নিয়ে অনেক কথা। ক্ষমতায় আসার জন্য অনেক উদগ্রীব তারা। তাদের নির্বাচনে কোন ইশতেহার দেয়না, আপনাদের নিয়ে তাদের কি পরিকল্পনা তাও তারা বলে না। তারা এগুলো পরিস্কার করেনা। মুলত তারা নিজেদের জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন-তারা আজকাল বলে যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করে, যে দলটি সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্যান্টনমেন্টের ভিতর থেকে একজন আর্মি জেনারেলের হাত ধরে জন্ম হওয়ার পর হাজার হাজার সৈন্যদের হত্যা করা এবং শত শত বিমান বাহিনী, আর্মি অফিসারদের মেরে ফেলা। সেই দল হত্যার রাজনীতি, অস্ত্রের রাজনীতি বিস্তার করেছে সেই দলের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। পরিশেষে বলতে চাই আপনারা সবসময় যুবলীগকে, আওয়ামী লীগকে আপনাদের পাশে পাবেন, বিচলিত হবে না, বিভ্রান্ত হবেন না। এদেশকে আমরা মর্যাদাশীল, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড় করিয়েছি। সামনে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনে আমাদের অনেক কাজ। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে জামাত-বিএনপি। তারা শুধু ষড়যন্ত্রের মধ্যেই আছে এদেশের সাধারণ মানুষের পাশে নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্যায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে, করোনার মহামারিতে মানবতার ঢাল হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, খাদ্য, চিকিৎসা, বিনামূল্যে অক্সিজেন, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্সসহ করোনায় মৃত মানুষের দাফন ও সৎকারে। আপনার বলেন-এই করোনায় জামাত-বিএনপি কাউকে এক মুঠো চাল পর্যন্ত দিয়েছে কি না। দেয় নাই। অথচ তারা ক্ষমতায় থেকে এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুম করেছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মী করে তাদের অধিকার বঞ্চিত করেছে। আমি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-জামাত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। আপনারা আগামীতে ভোটের মাধ্যমে নৌকাকে আবার বিজয়ী করবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিকসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।