648
Published on নভেম্বর 10, 2021ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার প্যারিস সফরের প্রথম দিনে এলিসি প্রাসাদে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে বৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে, সকলের মাঝে সমৃদ্ধির সুষম বণ্টন এবং একটি উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ফ্রান্স এবং বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন”।
প্রাসাদে পৌঁছালে প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডরা প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়। পরে দুই নেতা এলিসি প্রাসাদে এক সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজ এবং বৈঠক করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো এবং লন্ডন সফর শেষে মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্যারিস পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্যারিস সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস পিস ফোরামে অংশ নেবেন। এছাড়া ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ পুরস্কার বিতরণসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) যোগ দিতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের মূল পর্বে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশ নেন।
গ্লাসগোতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ব্রিটেনের রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লসসহ বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
কপ-২৬ সম্মেলনে যোগদান শেষে গত ৩ নভেম্বর লন্ডন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১: বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক রোড শো উদ্বোধন ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আগামী ১৩ নভেম্বর প্যারিস থেকে রওয়ানা হয়ে ১৪ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।