742
Published on আগস্ট 23, 2021বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ৭১‘ এর পরাজিত শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর এই হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমানও জড়িত। জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। বাংলাদেশ যখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদেরকে বিদেশে চাকুরীর সুযোগ করে দেয় জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা চেয়ে ছিল বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে। খন্দকার মোস্তাক ও বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। তারা ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এই বিচারে ইতোমধ্যে কয়েক জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকী আসামীদের দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ গতকাল রোববার দক্ষিণ সুরমার একটি কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট আওয়ামী লীগকে নিশ্চিন্ন করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেন। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯ বার হামলা চালানো হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখনো সুস্থভাবে বেঁচে আছেন। বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে বলেন, এ দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এ দেশের উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় এবং এ দেশের মানুষের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন করতে হয় তা কেবল শেখ হাসিনা সরকারই জানে। শেখ হাসিনার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে বিজয়ী করলে উন্নয়ন-অগ্রগতি চলমান থাকবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ যদি হাবিবকে সাইজ করার চেষ্টা করেন, তাহলে তারা নিজেরাই সাইজ হয়ে যাবেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সহ সভাপতি ও পিপি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তকুর রহমান মফুর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওয়ার, যুগ্ম সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম রুহেল, এডভোকেট রঞ্জিত সরকার, কোষাধ্যক্ষ শামসের জামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ সাকির আহমদ শাহিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী রইছ আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ হিরা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট মবশ্বির আলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কার্য নির্বাহী সদস্য ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এ.আর সেলিম, শহিদুর রহমান শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন, নজরুল ইসলাম কামাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. জায়েদ আলী, কাউন্সিল সালেহ আহমদ সেলিম, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, সিলাম ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম হোসেন বখত, বরইকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিব হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলী, জেলা তাতীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের ছাদেক, সাধারণ সম্পাদক সারাওয়ার আলম মিতুন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানি, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী প্রমুখ।