জনগণের গণলাশ ফেলতে চায় বিএনপি!

1121

Published on আগস্ট 10, 2021
  • Details Image

ইয়াসির আরাফাত তূর্যঃ

প্রায় দুবছর হয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এ জর্জরিত বিশ্বের প্রতিটি দেশ। আর এ মরণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে দেশের আপামর গণমানুষের প্রাণ বাঁচাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্যকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং সুচিন্তিত নেতৃত্বে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাচ্ছেনা সে পরিস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে-ই দেশব্যাপী শুরু করেছে গণটিকা কর্মসূচী।

কিন্ত আমরা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে লক্ষ্য করলাম পুরাতন শকুনের পুরাতন দুর্গন্ধযুক্ত আস্ফালন! বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের গণমানুষকে গণহারে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচীকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি শুধু তা-ই নয় বরং তারা জনকল্যাণের কথা চিন্তাই করতে চায়না, তাদের একমাত্র চাওয়া পাওয়া হলো ক্ষমতা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাৎস্যন্যায়(লুটতরাজ) কায়েম করা। কেননা তাদের লক্ষ্য ছিলো করোনায় বাংলাদেশে লাখো বাঙালির লাশ পড়বে আর সে লাশের সারির উপর ভর করে ওরা আসীন হবে ক্ষমতার মসনদে! বিএনপি মহাসচিবের এই গণবিরোধী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির প্রতি তাদের আজন্মের জিঘাংসা ও ঘৃণার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। তাই এদেশের আপামর জনগণকে তাদের আজন্মের জাতশত্রুদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে হবে।

২০০৭ সালে প্রাণেরনেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিরচিত অনবদ্য প্রতিবাদের উচ্চারণ, "প্লিজ, সাদাকে সাদা,কালোকে কালো বলুন" প্রবন্ধে প্রাসঙ্গিকভাবেই উল্লেখ করেছেন, "আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে, জনগণের কল্যাণেই রাজনীতি করে। আর তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের সাধারণ মানুষ কিছু পায়। স্বাধীনতার ৩৬ বছরে আওয়ামী লীগ তো মাত্র সাড়ে ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলো। (বাঙালি) স্বাধীনতা, সংবিধান যা কিছু পেয়েছে, এই দলটিই দিয়েছে। দু'বেলা ভাত থেকে শুরু করে সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন বা সস্তায় কম্পিউটার- তাও আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য করেছে। আওয়ামী লীগ নিঃস্বার্থভাবে সেবক হিসেবে কাজ করেছে,অন্যায়- অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তাই আইয়ুব,ইয়াহিয়া,জিয়া,এরশাদ, খালেদা সবাই নানাভাবে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে ধ্বংস করতে চেয়েছে।"

প্রসঙ্গত, খুনি জিয়ার খুনিপুত্র তারেকের লুটতরাজ জারি রাখতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অসংখ্যবার হত্যার পায়তারা অব্যাহত রেখেছে এই রাজনীতির নামে মানুষ হত্যাকারী দলটি। তার বর্বরতম উদাহরণ হিসেবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের সামনের সারির সব নেতৃবৃন্দকে হত্যার ঘৃণ্যতম উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গ্রেনেডবোমা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ দলটির উপর খালেদা নিজামী গং সরকারের কিলিং মিশনের ক্ষত আজ-ও শুকায়নি। বিএনপির বিবর্তনের ইতিহাস লাখো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে লাখো মাতা-পিতার বুক খালির আর্তনাদ ও বর্বরতার ইতিহাস, খালেদাপুত্র কোকো-তারেকের হাওয়াভবন-খোয়াবভবনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার ও মধুবিলাশের ইতিহাস। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেও এ দলটিকে(আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে পারে নাই। শত অপপ্রচার(গুজব) করেও জনগণের মনে আস্থা-বিশ্বাসের স্থানটা এই দলটিরই আছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বারবার কুয়াশা সৃষ্টি করেছে। আবার তা কেটে গেছে। কত মিথ্যে কথা প্রচার করা হয়েছে, যা এখনও চলছে। যারা দুই দল বিম্পি ও আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় ফেলেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই দুই দলের জন্মসূত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রম কি পরিষ্কারভাবে বলবেন? আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে ভাষা আন্দোলন ও জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জন্মগ্রহণ করে। এই দল ক্ষমতাসীনদের দ্বারা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে গঠিত দল নয়, বরং ক্ষমতাসীনদের অন্যায়,অবিচার,শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্ম।"

শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে আজ ইতিহাস ও শেকড়ের সন্ধানে নিয়োজিত হতে হবে, ইতিহাস অধ্যয়ন ও উপলব্ধীর পাশাপাশি বাঙালির জাতশত্রুদেরকে চিহ্নিত করে ঘৃণাভরে বর্জন করতে হবে।

লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত