শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চিকিৎসা সামগ্রী ও শিক্ষা সহায়তা বিতরণ

729

Published on মে 20, 2021
  • Details Image

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ৪টি হাসপাতালে হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও ৪ টি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি। আজ বুধবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। এসময় বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পারভীন জামান কল্পনা, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. খলিলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, উপ-কমিটির সদস্যদের মধ্যে ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আখলাকুর রহমান মাইনু, ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মাতাব্বুর আমিনুল, মো. খলিলুর রহমান, হাসিবুর রহমান বিজন, মো. হারুন অর রশীদ, শাহ আলমগীর, নারায়ন দেবনাথ, মো. জসিমউদ্দিন চৌধুরী, কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক, ডা. শেখ ফয়েজ আহমেদ, শওকত হোসেন খান মনির, নুরুননবী ভূঁইয়া কামাল, মো. মাহবুব রশীদ, মো. মিজানুর রহমান, আব্দুল বারেক, আমিনুল ইসলাম খান আবু, আরিফ উল্লাহ সরকার, ডা. পবিত্র দেবনাথ, আকাশ জয়ন্ত গোপ, শাহ আলমগীর, অরিন্দম হালদার, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, পল্লব কুমার সিংহ, রফিকুল ইসলাম রনি, নুরুল হক সজীব, মো. ফারুকুজ্জামান, ইদ্রিছ আহমেদ মল্লিক, খালিদ হোসাইন খান বিপু, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম সীমান্ত, মোহাম্মদ আলী খান  রিপন, সাইফুল ইসলাম সাইফ, দেবাশীষ আইচ, আমরা ঢাকা বাসীর সভাপতি শুকুর সালেক প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ত্রাণ উপকমিটির প্রশংসা করে বলেন, করোনার শুরু থেকেই ত্রাণ উপকমিটি দলীয় সভানেত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু ত্রাণ উপকমিটিই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তৃতায় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। এই দলের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলে থাকতেও যেমন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, সরকারি দলেও তেমন কাজ করেন। করোনাকালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই জীবন জীবিকা সচল রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, অনেক ঝড় ঝঞ্ঝনা নিয়ে দেশে ফেরেন। তিনি দেশে ফিরি ছিলেনই বলেই দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে এসেছে। মানুষ উন্নত জীবন পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ত্রাণ উপকমিটির কাজের প্রশংসা করে বলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ত্রাণ উপকমিটি যেভাবে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অকল্পনীয়। তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এটাই আওয়ামী লীগ। সকল আন্দোলন সংগ্রামে যেমন, তেমনি দুর্যোগেও মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
 
ড. রাজ্জাক বলেন, নেত্রী দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, একাত্তরের ঘাতকের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা কাজ করছেন। দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। দেশের মানুষ আজ না খেয়ে থাকে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত স্থাপন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন যদি দেশে না আসতেন, তা হলে বাংলাদেশ থাকতো না। বাংলাদেশটাই পাকিস্তানে পরিণত হয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৭ মে বাংলার মাটিতে পা রাখার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ পুনর্জন্ম হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বাংলাদেশে ফিরে না আসতেন- তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণ প্রাপ্তি তো দূরে থাক, এই দেশটাই সেদিন থাকতো না। এটাই ছিল সেদিনের বাস্তবচিত্র। সেদিন বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কিন্তু ৭৫’এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রামের ফসল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও হত্যা করা হয়েছিল। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেদিন বাংলাদেশকে নতুন করে পাকিস্তান তৈরি করার চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসেছিল বলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। নানামুখী উন্নয়নের জোয়ারে আজ পুরো বাঙালি জাতি ভাসছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চিরতরে মুছে যাবে। দেশ আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সে কারণেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তার কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, স্বদেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, তার প্রতিটি কথাই আজ বাস্তবায়ন হয়েছে, প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আজ শুধু শেখ হাসিনা নয়, সফল রাষ্ট্রনায়ক নয়, তিনি বাঙালির জাতির নেতা নয়, তিনি আজ বিশ্বনেত্রী। বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে মানবতার মা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে একটি করে হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও উন্নতমানের সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, হুইল চেয়ার, ব্লাড প্রেসার মেশিন, ট্রাই সাইকেল, উন্নতমানের মাস্ক, প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলোর মধ্যে চাইল্ড অ্যান্ড মাদার কেয়ার, অধির বাংলা ফাউন্ডেশন, ডিজিটাল প্লাস ফাউন্ডেশনের মাঝে ট্রাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত