১৭ মে: বাংলাদেশের আপন কক্ষপথে ফেরার দিন

2890

Published on মে 16, 2022
  • Details Image
  • Details Image

সাইফুল্লাহ্ আল মামুন:

উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে এক অপার বিস্ময়ের নাম। বাংলাদেশের সফলতা পর্যালোচনা করতে গেলে ১৯৮১ সালের ১৭ মের কথা আলোচনায় আনতেই হবে। কেননা ১৯৭৫ সালে জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যে অন্ধকার দিনের শুরু, সেই অন্ধকারের পর্দা সরিয়ে এদিন বিদেশের মাটি থেকে দেশের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া, বাংলার গরিব, দুঃখী, অসহায়, শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল, আজকের সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্ব মানবতার জননী, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির বিশেষ এক সংকটকালে ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে নেতৃত্ব গ্রহণ করার স্বোচ্চার দাবি জানানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে ফিরে আসেন তিনি।

যদিও শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পথ মোটেও নির্বিঘ্ন ছিল না। তৎকালীন সৈরশাসকের সব অপচেষ্টা ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল জনতার বাঁধভাঙা জোয়ারে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে সরকারি মালিকানাধীন জাতীয় দৈনিক ‘দৈনিক বাংলা’য় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল : শেখ হাসিনা প্রতিরোধ কমিটি সংঘর্ষ এড়ানোর জন্যই কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে প্রতিরোধ মিছিল ও বিক্ষোভ দেখানো কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।’ সে সময়কার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনার আগমন প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার দেশে প্রত্যার্বতন সংবাদে প্রবল গণজোয়ারের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছিল। ফলে অসম্ভব হয়ে উঠেছিল তার স্বদেশ প্রত্যার্বতন রোধ করা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের আপামর মানুষের ভেতরে কী ধরনের অপেক্ষার উত্তেজনা ছিল তা সে সময়কার পত্রপত্রিকা দেখলে সুস্পষ্ট হয় :

১৯৮১ সালের ১৮ মে দৈনিক ইত্তেফাকে লেখা হয়েছিল, “দীর্ঘ ছ’বছর বিদেশে অবস্থানের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠকন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। লাখো জনতা অকৃপণ প্রাণঢালা অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেন তাদের নেত্রীকে। মধ্যাহ্ন থেকে লক্ষাধিক মানুষ কুর্মিটোলা বিমানবন্দর এলাকায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করবে। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিমানবন্দরে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।’’

ওই সময়কার সরকারি পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলা’ ১৮ মে, ১৯৮১ শেখ হাসিনার বিমানবন্দর সংবর্ধনা সংবাদে উল্লেখ করেছিল, ‘‘ঐ দিন কালবোশেখী ঝড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ৬৫ মাইল। এবং এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তায় ছিল।’’

১৮ মে ১৯৮১, দৈনিক সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজধানী ঢাকা গতকাল (১৭ মে, ১৯৮১) মিছিলের শহরে পরিণত হয়েছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিছিল। শুধু মিছিল আর মিছিল। প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিও মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। স্লোগানেও ভাটা পড়েনি। লাখো কণ্ঠের স্লোগান নগরীকে প্রকম্পিত করেছে। গতকালের ঢাকা ন’বছর আগের কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যে দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে এসেছিলেন, সে দিন স্বজন হারানোর কথা ভুলে গিয়েও লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল নেতাকে একনজর দেখার জন্য। গতকালও হয়েছে তাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য ঢাকায় মানুষের ঢল নেমেছিল। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলানগর পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। ফার্মগেট থেকে কুর্মিটোলা বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রাফিক বন্ধ ছিল ছ’ঘণ্টা।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লাখো জনতা অকৃপণ প্রাণঢালা অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় তাদের নেত্রীকে।’

লন্ডনের একটি দৈনিক ঢাকার বিমানবন্দরের সেদিনের উত্তাল জনসমুদ্রের বিবরণ ছেপে তার হেডিং দিয়েছিল, A Leader is born. (একজন নেতার জন্ম)। সত্যিই ১৭ মে, ১৯৮১ একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের রাজনৈতিক জন্ম হয়েছিল। কার্যত সেদিন শেখ হাসিনার আগমনে আস্থাহীন জাতির যেন এক অনন্য রূপান্তর ঘটে যায়। স্বকীয় প্রতিভাগুণে তিনি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের আদর্শকে প্রবলভাবে পুরো জাতির মনে আবার জাগিয়ে তুললেন। হঠাৎ করেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যেন জেগে উঠল। সেই যে তার যাত্রা শুরু তারপর তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাননি।। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুপ্রেমী কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে তিনিই একমাত্র আশার প্রদীপ। ভরসার প্রতীক।

বাঙালির আজন্ম স্বপ্নস্বাদ পরাধীনতার শৃঙ্খল খেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা অর্জনের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুকে প্রকৃতিও যে মেনে নিতে পারেনি তা বোঝাতে বোধহয় এদিনটি বেছে নিয়েছিল বাংলার আকাশ বাতাস। সেদিন গগনবিদারী মেঘ গর্জন, ঝাঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল, আর অবিরাম মুষলধারে ভারিবর্ষণে যেন ধুয়েমুছে যাচ্ছিল বাংলার মাটিতে পিতা হত্যার জমাটবাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন।

সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর হতে লাখ লাখ অধিকারবঞ্চিত মুক্তিকামী জনতা সেদিন ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। স্বাধীনতার অমর স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিল ঢাকার আকাশ বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম- পিতৃ হত্যার বদলা নেব’।

‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, রাজধানী শহর ঢাকা। বস্তুত: ১৭ মে ১৯৮১ পুনর্বার প্রমাণিত হয়েছিল, ‘মুজিব বাংলার বাংলা মুজিবের’। লাখ লাখ জনতার প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ এবং গোটা জাতির স্নেহাশীষ ও ভালোবাসার ডালা মাথায় নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন জনতার আশীর্বাদ-ধন্যা নেত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেদিন ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রিয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধু সৈনিক স্লোগান তুলেছিল “ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার পাশে”। সত্যিই বঙ্গবন্ধুর নিখাদ সৈনিকরা জননেত্রীর পাশে ছিলেন, আছেন এবং আমৃত্যু থাকবেন। যার জ্বলন্ত প্রমাণ আমরা দেখতে পাই চট্টগ্রামে নেত্রীর ওপর হামলার সময় কর্মীদের জীবন উৎসর্গ, ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় মানববর্ম তৈরি, ওয়ান ইলেভেনের দুঃসময়ে নেত্রীকে দেশে ফিরতে বাধাদানের সময়, তার গ্রেপ্তারের সময় মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জনতার ঢল- এ রকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে।

ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ ‘‘আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থসামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’’

কথা রেখে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে গণজাগরণের ঢেউ জেগেছিল, গুণগত পরিবর্তন সূচিত হয়েছিলো আন্দোলনের, রাজনীতির, গণসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছিল সংগঠনের। সর্বোপরি দেশবাসী পেয়েছিল নতুন আলোর দিশা।

দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি নিরলসভাবে দেশের অধিকারহারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তিনি নীতি ও আদর্শে অবিচল থেকে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। জনগণের ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে বারবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘‘রূপকল্প ২০২১’’ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘‘রূপকল্প ২০৪১’’ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত আধুনিক সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মানসে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছি। কেননা আওয়ামী লীগ ও দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির সেই চরম দুর্দিনে পিতা-মাতা-পরিবার-পরিজন হারা একজন গৃহবধূ যদি সব দ্বিধা, সংকোচ ও সংসারের বন্ধন ত্যাগ করে রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ পথে এসে না দাঁড়াতেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ভূলুণ্ঠিত পতাকা আবার সাহসের সঙ্গে ঊর্ধ্বে তুলে না ধরতেন, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা আজ কি দাঁড়াত? ভাবলেই শঙ্কার চোরাবালিতে ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়, নয় কি?

নেতাজি সুভাষ বসু বলতেন,‘‘আদর্শকে ষোলো আনা পাইতে হইলে নিজের ষোলো আনা দেওয়া চাই’’। সে ষোলোআনা দেওয়ার মতো মানসিকতা সচরাচর মানুষের মধ্যে থাকে না। অবশ্যই শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ষোলোআনা দেওয়ার জন্য চার দশক আগের এক ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৮১ সালের ৫ মে বিশ্বখ্যাত নিউজউইক পত্রিকায় বক্স আইটেমে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেছিলেন, জীবনের ঝুঁকি আছে এটা জেনেই তিনি বাংলাদেশে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর মন্তব্য করতে যেয়ে বিবিসি তার সংবাদ ভাষ্য ৮১ সালের ১২ জুন বলেছিল, “তার পিতার নৃশংসতম মৃত্যুর পর বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন নিঃসন্দেহে একটি বড় ব্যাপার। তার এই সাহস সম্ভবত তিনি অর্জন করেছেন তার পিতার কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার সাহস এবং তেজদীপ্ততার জন্য বাঙালির আস্থা অর্জন করেছিলেন।”

বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আন্তরিক প্রত্যাশা।

লেখক: সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটি।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত