3084
Published on মার্চ 21, 2021প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাকে ইতিহাস থেকেও মুছে ফেলার যে চেষ্টা হয়েছিল, এখন আর সেই চেষ্টা করে কেউ সফল হতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ‘ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলে’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদযাপন করার সুযোগ হয়েছে।
“যেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আর সেই নাম মুছতে পারবে না। যেখানে মিথ্যা ঘোষক হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আন্তর্জাতিকভাবে আপনারা দেখেন- সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকবে না।”
“তার কারণ, আজকে বিশ্বনেতৃবৃন্দ- তারাই কিন্তু আজ এটা নিজেরাই প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজুলেশনে আনছেন যে ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছে।
নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে।
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও তখনকার সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকার করায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আনা প্রস্তাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের যেই স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা করা না, এই হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।”
জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হল, স্বাধীনতার নায়ক বানানো হল, স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেওয়া হল। এই বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিল, তার নামটা পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। তার নামটা নেওয়া যেন নিষিদ্ধ ছিল।
“১৯৭৫ এর পর দেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে বলার সাহস ছিল না। জাতির পিতাকে হত্যা করে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের চাটুকারিতা যারা করতে পারত, শুধু তারাই সব কিছুই বলতে পারত।”
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।