সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ

3500

Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2021
  • Details Image

তাজিন মাবুদ ইমনঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা, জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর প্রতিষ্টাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাত্রিতে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলেও তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। পরবর্তী ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তাদের দুই বোনকে।১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর পর যখন বাংলার মাটিতে পা দেন।১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।১৯৯৬-২০০১ পাঁচ বছর ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সময়।শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বাঙালি জাতির গর্ব ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তাকে এবং তার অনুগামীদের হত্যার উদ্দেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। কানের পর্দা ফেটে গিয়ে আহত হন শেখ হাসিনা।২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৪টি আসন লাভ করে।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।

উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।বঙ্গবন্ধু এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। প্রতি বছরের শুরুর দিন ২ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হচ্ছে।স্কুলে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ, উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বইসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করছে।‘মিড ডে মিল’প্রকল্পের আওতায় মুজিব বর্ষে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের দুপুরের টিফিন দেয়া হবে।২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষায় বরাদ্দ দিয়েছে ১১.৬৯%।

যখন আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি তখন দেখতাম বিদ্যুৎ সোনার হরিনের মত।দিনে ১০,২০বার যাওয়া তখন স্বাভাবিক ছিল।কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায়।বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সাফল্য বিস্ময়কর। ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন এর ক্ষমতা ২২,৫৬২ মেগাওয়াট।দেশের ৯৪ শতাংশ জনগণ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।দেশে মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২.৮ বছর। নারীর ৭৩ এবং পুরুষের ৭০। পাঁচ বছরের বয়সী শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩৪.২ জন। গত ১০ বছরে ৭৪ ভাগ কমেছে।সারা দেশে ১৩৪৪২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে।কয়েক দফায় গত ১০ বছরে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ৫শত অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানী হচ্ছে।তারপর ও এই করোনায় আমরা দেখেছি চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশে এখন ও অনেক উন্নয়ন করা দরকার।এবং চিকিৎসা খাতে দূর্ণীতি বন্ধ করা বেশি দরকার।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। এটি ১১ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ।২০১১ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পে জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার।কিন্তু ঋণচুক্তির পাঁচ মাসের মাথায় কথিত দুর্নীতির অভিযোগ এনে ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে৷ ফলে ২০১২ সালের ২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঋণচুক্তি বাতিল করে দেয় আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি৷এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণে এক যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়।এই পদ্মা সেতু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।অনেকে বলেছে করতে পারবে না।আজ সেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে ৬.১৫ কি.মি।ঢাকার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেল প্রকল্পের সাড়ে আট কিলোমিটার সেটি এখন দৃশ্যমান।এটিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ যাত্রী চলাচল শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে পাবনার রূপপুরে, যেখানে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২১ সালের শেষ দিকেই রামপাল থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসতে শুরু করবে। পায়রা বিদ্যুৎ নির্মান প্রকল্প প্রায় শেষের দিকে। ২০২০ সালে দেশের মাথাপিছু গড় আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। সুতরাং বলা চলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলেই উন্নতি হবে বাংলাদেশের। তাই সরকারও চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতি বিশেষ যত্নশীল।দেশের বৃহত্তম ইকোনোমিক জোন হচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে হচ্ছে দেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। বাংলাদেশের ব্যাংক রিজার্ভ ২৯ কোটি বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। যা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সরকারি ব্যাংকসমূহে চাকরি আবেদন বিনামূল্যে করে দিয়েছে সরকার। এসব উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ‘সাউথ-সাউথ এওয়ার্ড’ ইত্যাদি পুরস্কার লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের অগ্রগতি উদাহরণ দেওয়ার মতোই। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশির ভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়াকে। বর্তমানে যখন পৃথিবীর গভীর গভীতর অসুখ, বাংলাদেশও ধুঁকছে এক অচেনা ও অশরীরী শত্রুর আক্রমণে তখন সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনা একাই লড়ছেন। তিনিই দিচ্ছেন সকল নির্দেশনা। আর্থিক প্রণোদনা, দরিদ্র ও তৃণমূল মানুষের জন্য অর্থ সহযোগিতা, চিকিৎসা সেবা, সামাজিক সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা সবক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত এবং সিদ্ধান্তের ত্বরিত বাস্তবায়ন সবই সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র নেতৃত্বের সুদক্ষতায়। দেশের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিশ্ব ও আঞ্চলিক সঙ্কট মোকাবেলায় তিনি যেভাবে, যতটুকু ভূমিকা রাখছেন তার প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেত্ববৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যমগুলোও। এছাড়া একাধিকবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ফোরামগুলোকে তিনি যেভাবে নিজ অবস্থান এবং সফল বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন তারও প্রশংসা শুনেছি উল্লেখ্যযোগ্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সপ্রশংস মন্তব্য যা প্রতিফলিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমেও। নানা দুর্যোগে বড়-ছোট দেশের জন্য শেখ হাসিনা যেভাবে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান। কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার সহজিয়া ভঙ্গির পদক্ষেপে দূর হয়েছে অনেক জটিল সমস্যা। তিনি দূরকে নিকট এবং পরকে আপন করে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন নিজ প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতায়। কিন্তু কোথাও তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সম্মানকে খাটো অথবা নতজানু নীতি গ্রহণ করেননি। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে যেমন সবখানে সম্মানিত হয়েছেন তেমনি বাংলাদেশকেও করেছেন গৌরবান্বিত। বিশ্বমাঝে বাংলাদেশের পরিচিতি এখন শেখ হাসিনার পরিচয়ে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যে সবাই খুশী মনে হাসবে এটা মানতে মন শতভাগ সায় দেয় না। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বমাঝে শেখ হাসিনা প্রশংসিত হবেন আর তাতে কারো গা জ্বালা করবে না এটা কি হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনে যেমন তেমনি শেখ হাসিনার জীবনেও ষড়যন্ত্রের অশরীরী ছায়া পিছু ছাড়ে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে পৃথিবীর অন্যান্য বড় বড় দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেদের যোগ্যতার জানান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদের ছোট্ট এই দেশকে পৃথিবীর বুকে বারবার করেছে সম্মানিত।সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ।এটাই প্রত্যাশা তরুন প্রজন্মের।

লেখক: শিক্ষার্থী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত