বঙ্গবন্ধু ও বিজয়ের স্মৃতি

2208

Published on ডিসেম্বর 16, 2020
  • Details Image

তোফায়েল আহমেদঃ

স্মৃতির পাতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের অনেক ছবি ভেসে ওঠে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন সামনে নিয়ে দীর্ঘ ২৪টি বছর সংগ্রাম পরিচালনা করে, নিজের জীবন উত্সর্গ করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন মানুষের হূদয়ে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী গৌরবগাথা অম্লান থাকবে। তিনি এমন এক মহামানব, যার হূদয় ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। বাংলার মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকে আমি তা দেখেছি। বাংলাদেশের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে আমি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়ে যাইনি। হূদয়ের গভীরতা থেকে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে যখন ডাক দিতেন, মানুষের হূদয় প্রবলভাবে আলোড়িত হতো। রাস্তার পাশে গভীর রাতে আধো অন্ধকারে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকত তাকে একনজর দেখার জন্য। তিনি গাড়ি থামাতেন। মানুষটিকে বুকে টেনে নিতেন। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন, তাকে মনে রাখতেন। সেই মানুষটিও বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পেয়ে নিজকে ধন্য মনে করতেন। তিনি ছিলেন এমন নেতা, যিনি কখনো কাউকে ছোট মনে করতেন না। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, হেয় প্রতিপন্ন করতেন না। পরকে আপন করতেন। যে তার নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী নয়, সে-ও তার সান্নিধ্যে আপন হয়ে উঠত।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালিদেরই হতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই প্রথমে নিজকে, পরে দলকে এবং বাংলার মানুষকে প্রস্তুত করে তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য জেল-জুলুম-হুলিয়া-অত্যাচার-নির্যাতন এমনকি ফাঁসির মঞ্চকেও তুচ্ছ করেছেন। কোনো দিন লক্ষ্যচ্যুত হননি। দলীয় প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন, আবার জাতীয় প্রয়োজনে দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ আর আমাদের মহান বিজয় সূচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে গিয়েছিলাম কলকাতার থিয়েটার রোডে অবস্থিত প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে। সেখানে অবস্থান করছিলেন শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ—গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতা। সবাই আনন্দে আত্মহারা! প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা হানাদারমুক্ত করেছি। মনের গভীরে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ; সেই আনন্দ-অনুভূতি অনির্বচনীয়! স্বাধীন বাংলার যে ছবি জাতির পিতা হূদয় দিয়ে অঙ্কন করে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র করে বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অদম্য বাঙালি জাতি নেতার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সমগ্র বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে, জাতীয় মুক্তির ন্যায্য দাবির প্রশ্নে কেউ আমাদের ‘দমাতে’ পারে না।

’৭১-এর ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ অর্জন করে। আমরা তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী গেরিলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী এদিন উপয়ান্তর না দেখে একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তান বিমানবাহিনী পশ্চিম ভারতের বিমানঘাঁটিগুলো এমনকি দিল্লির কাছে আগ্রার বিমানক্ষেত্র এবং পূর্ব ফ্রন্টের আগরতলা বিমান ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী রাত ১০-৩০ মিনিটে সারা ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। রাত ১২-২০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী বেতার ভাষণে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সাফ জানিয়ে দেন, ‘আজ এই যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করল।’ পরদিন ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যৌথভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জনে চিঠি লেখেন। চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, ‘যদি আমরা পরস্পর আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রবেশ করি, তবে পাকিস্তান সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ অবস্থান অধিকতর সহজতর হয়। অবিলম্বে ভারত সরকার আমাদের দেশ ও আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করুক।’ এর পরপরই ভারত পালটা আক্রমণ চালায় এবং ৬ ডিসেম্বর সোমবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ভারত সরকার স্বাধীন ও সার্বভৌম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’কে স্বীকৃতি প্রদান করে।

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও মুজিববাহিনীর জন্য ৭ ডিসেম্বর ছিল এক বিশেষ দিন। এই দিন মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল যশোর হানাদারমুক্ত হয়। যশোরের সর্বত্র উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন সরকারের নেতৃবৃন্দ ও মুজিববাহিনীর কমান্ডারগণসহ আমরা বিজয়ীর বেশে স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত প্রথম মুক্তাঞ্চল যশোরে প্রবেশ করি। জনসাধারণ আমাদের বিজয়মাল্যে ভূষিত করে। সেই আনন্দ-অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মনে পড়ে মেজর জেনারেল উবানের কথা। তিনি দেরাদুনে আমাদের ট্রেনিং দিতেন। আরো মনে পড়ে মেজর জেনারেল সরকার এবং ডি পি ধরের (শ্রী দুর্গাপ্রসাদ ধর, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা) কথা, যারা প্রতি মাসেই কলকাতার হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে মুজিববাহিনীর চার প্রধানের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের কাজের সার্বিক সমন্বয় করতেন। মুজিববাহিনীর হেডকোয়ার্টার্স ছিল কলকাতায়। দেরাদুনের ট্রেনিং ক্যাম্পে আমরা বক্তৃতা করতাম। ট্রেনিং শেষে মুজিববাহিনীর সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের অভ্যন্তরভাগে প্রবেশে সহায়তা করতেন মেজর জেনারেল সরকার। ভারত সরকার প্রদত্ত অস্ত্র ও অর্থসহায়তায় সমন্বয় করতেন ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তথা পি এন ব্যানার্জি। তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। তিনি ভারতের পূর্বাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই, অর্থাত্ ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর অক্টোবর মাসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে লন্ডনে দেখা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের ভূমিকা কী হবে সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আমরা তাকে ‘মিস্টার নাথ’ বলে সম্বোধন করতাম। আমাদেরও ভিন্ন নাম ছিল। মনি ভাইয়ের নাম ‘মনি দে’, সিরাজ ভাইয়ের নাম ‘সরোজ বাবুু’, রাজ্জাক ভাইয়ের নাম ‘রাজেন দে’ এবং আমার নাম ‘তপন’। অনেকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মুজিববাহিনীর ভুল বোঝাবুঝির কথা বলেন। এটা সঠিক নয়। এখানে কারো ব্যক্তিগত খামখেয়ালির অবকাশ ছিল না। সবাই সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল। বাংলাদেশকে চারটি বৃহত্ অঞ্চলে বিভক্ত করে রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সংগঠিত ছিল মুজিববাহিনী। প্রধান সেনাপতি আতাউল গণী ওসমানীর নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর (এফএফ) সঙ্গে একত্রে যুদ্ধ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করাই ছিল মূলত মুজিববাহিনীর কাজ। মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধেয় নেতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের দায়িত্বে ছিল তত্কালীন চট্টগ্রামের নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা ডিভিশন (ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর বাদে); রাজশাহী বিভাগ (পাবনা ও সিরাজগঞ্জ বাদে) এবং উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন সিরাজ ভাই; রাজ্জাক ভাইয়ের দায়িত্বে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ এক বিরাট অঞ্চল আর আমার দায়িত্বে ছিল পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা। মুজিববাহিনীর ট্রেনিং হতো দেরাদুনে। দেরাদুনে ট্রেনিং শেষে আমার সেক্টরের যারা, তাদের প্লেনে করে ব্যারাকপুর ক্যাম্পে নিয়ে আসতাম। মুজিববাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রাক্কালে বুকে টেনে, কপালে চুমু দিয়ে বিদায় জানাতাম। মুজিববাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পে বক্তৃতায় আমরা বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ করে বলতাম, ‘প্রিয় নেতা, তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো জানি না! যত দিন আমরা প্রিয় মাতৃভূমি তোমার স্বপ্নের বাংলাদেশকে হানাদারমুক্ত করতে না পারব, তত দিন মায়ের কোলে ফিরে যাব না।’ ১৬ ডিসেম্বর যেদিন দেশ শত্রুমুক্ত হয়, সেদিন আমরা বিজয়ীর বেশে মায়ের কোলে ফিরে এলাম। ১৮ ডিসেম্বর আমি ও রাজ্জাক ভাই হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসি। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করি। চারদিকে সেকি আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী পরম শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে যেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল সেখানে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানীর এডিসি ছিলেন এবং শেখ জামাল দেরাদুনে আমার সঙ্গেই ছিল।

ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশানুযায়ী নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিদের দোসর এদেশীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ঘাতকেরা। ডিসেম্বর মহান বিজয়ের গৌরবমণ্ডিত মাস হলেও ১৪ ডিসেম্বর বেদনার দিন। জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা আমাদের মেধাহীন জাতিতে পরিণত করতে চেয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোতে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল দেশমাতৃকার স্বাধীনতার সূত্রে। জাতীয় ঐক্যের অভূতপূর্ব নিদর্শন ছিল সেই দিনগুলো।

দুটি লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন। একটি হলো স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতার ডাক তিনি দিয়েছিলেন ’৭১-এর ২৬শে মার্চ, যা পূর্ণতা লাভ করেছে ১৬ই ডিসেম্বর। আরেকটি হলো বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। সেই লক্ষ্যেই তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজকে যদি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করতে পারতেন, তবে বহু আগেই বাংলাদেশ মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেত। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, টুঙ্গীপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। কিন্তু তার রক্তের ও চেতনার উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা যার হাতে ’৮১ সালে আমরা তুলে দিয়েছিলাম, সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সঙ্গে দল পরিচালনা করে চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন; তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল চ্ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

লেখক :আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় সংসদ

সৌজন্যেঃ দৈনিক ইত্তেফাক

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত