1653
Published on সেপ্টেম্বর 30, 2020প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খানঃ
বিশ্ব নেতৃত্বে সমাসীন দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি । রাষ্ট্রনেতার ঊর্ধ্বে ‘মানবতার মা’ হিসেবেও হয়েছেন জননন্দিত। তাঁর সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
নিম্ন আয়ের চিহ্নিত বাংলাদেশ এখন পরিণত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। সোয়া পাঁচ কোটি মানুষ উন্নীত হয়েছে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। ৭-এর উপরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদশ। নির্ধারিত সময়ের আগে জাতিসংঘ ঘোষিত এস.ডি.জি. (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জনে বিশ্বে বিপুলভাবে প্রশংসিত বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সারা বিশ্বের এটি অন্যতম রেকর্ড।
দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন ‘ভিশন-২০২১’ ও ‘ভিশন-২০৪১’ যুগান্তকারী কর্মসূচী। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাশূন্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে। বিশ্বজুড়ে অভিনন্দিত হচ্ছে দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন। বিশ্বনেতৃত্বে সফল রাষ্ট্রনায়কদের শীর্ষস্থানে অন্যতম আসনের অধিকারী হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের বিশ্ব নাগরিক মর্যাদায় করেছেন গৌরবান্বিত।
২১০০ সালের বাংলাদেশ নির্মাণের কথা ভেবে ‘ডেল্টা প্ল্যান’ মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ধারাবাহিকতায় দু’জন নামকরা অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফ্যালান্ড ও জন রিচার্ড পারকিনসন বই লিখে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যদি দাঁড়িয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর সবাই দাঁড়িয়ে যাবে।’ কিন্তু আজ বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ হবে শূন্যের কোটায়। কিসিঞ্জার সহ তার সহকর্মীদের মুখেই উচ্ছরিত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা।
আন্তর্জাতিক জরিপে পৃথিবীর সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী রাষ্ট্রনায়ক সৎ রাষ্ট্রনায়কের নাম ‘শেখ হাসিনা’। যেখানে বাধা পেয়েছেন, সেখান থেকে তিনি সাফল্যের পথ সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনার এ জন্মদিনে মনে পড়ে প্রয়াত কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতার লাইন- ‘আপনিই তো বাংলাদেশ’। শান্তির অগ্রপথিক প্রিয় নেত্রীর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। আওয়ামী লীগের প্রাণ কাণ্ডারি, গণমানুষের ভরসাস্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা, অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
লেখকঃ শিক্ষাবিদ ও কূটনীতিক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার