3789
Published on জুলাই 11, 2020করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সংকট উত্তরণের জন্য বিশ্বনেতাদের একটি ফোরামে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ জুলাই) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আইএলও আয়োজিত ‘গ্লোবাল লিডার’স ডে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এই প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।
কোভিড-১৯ ভাইরাসটি কাউকে ছাড় দিচ্ছে না উল্লেখ করে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনার বিরূপ প্রভাবগুলো দুর্বল, অভিবাসী ও নারী শ্রমিকদের ওপর বেশি পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ হচ্ছে।
চলমান করোনা সংকটে শ্রমিক সমস্যাগুলো উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর তিনটি প্রস্তাব হলো—
১. এই সংকটের সময় বিদেশের বাজারে অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি বহাল রাখতে হবে।
২. যদি অব্যাহতি দিতেই হয় তবে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধাসহ ক্ষতিপূরণ এবং বরখাস্ত সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মহামারির পরে অর্থনীতিকে সক্রিয় করতে এই কর্মীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।
শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে এবং এর ফলে রেমিট্যান্সে ঘাটতি এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রেমিট্যান্স আমাদের মূল উপাদান।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিপুল সংখ্যক বেকার অভিবাসী শ্রমিকের প্রত্যাবর্তন একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে—আমরা ২০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স আয় হারাবো।’
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারি সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপের কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা, সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফবেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তেনিও গুতেরেস এই অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন।