94696
Published on মে 14, 2020"সকাল ১০টা। মোবাইল ফোনের মেসেজ টোন বেজে ওঠে। মেসেজটি খুলে দেখি দুই হাজার পাঁচশত টাকার একটা মেসেজ এসেছে। লেখা রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার “নগদ”-এর মাধ্যমে পেয়েছেন। টাকাটা পেয়ে আমার খুব সুবিধা হয়েছে। করোনার কারণে ঘরে বসা। কোনো কাজকর্ম নেই। দরিদ্র পরিবার। সামান্য দর্জির কাজ করে সংসার চালাতে হয়। ঈদ সামনে। হাতে একটা টাকাও নেই। চিন্তায় ছিলাম কিভাবে খেয়ে পড়ে বাচঁবো। আবার ঈদ বা কি দিয়ে করবো। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে উপহার পাঠিয়েছেন তার জন্য আমি খুবই খুশী। আল্লাহর কাছে নামাজ পড়ে দুহাত তুলে দোয়া করবো। হে আল্লাহ তুমি তাঁকে দীর্ঘায়ু দান করুন।"
এভাবেই কথাগুলো বলেন গোপালগঞ্জ শহরের মান্দারতলা এলাকার দর্জির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা জোৎসনা বেগম।
শুধু জোৎসনা বেগম নন। অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মালোপাড়া গ্রামের মৎস্য শিকারী প্রশান্ত বিশ্বাস, একই উপজেলার বলাকৈড় গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক লাভলী বেগমসহ বেশ কয়েকজন দরিদ্র মানুষ।
তারা বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে উপকার করলো তা কোনোদিনও ভোলার নয়। করোনার সময় আয় রোজগার নাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার হিসেবে অনুদান পাঠিয়েছেন। তাও আবার মোবাইলের মাধ্যমে। যখন খুশি তখন উঠাতে পারবো। প্রয়োজন মতো জিনিস পত্র কিনতে পারবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার নিয়ে বের হওয়ার সময় এসব অনুভূতি ব্যক্ত করেন তারা। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিশেবার মাধমে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ অংশে ভিডিও কনফারেন্স এর আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও সুবিধা ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় ৫৫ হাজার মানুষের নামের তালিকা প্রস্তুত করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা আসা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবারই টাকা চলে আসবে।
সৌজন্যেঃ কালের কণ্ঠ