9528
Published on মে 6, 2018মহাকালের মহানায়ক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন ও সংগ্রামের অমিত ফসল যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশটিকে নতুন করে নির্মাণের নিরলস কর্মকান্ডে অফুরন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং পাকিস্তানের পক্ষে কুৎসিত পরাজিত শত্রুদের কূটচক্রের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের ফলে নানাবিধ অনাকাক্সিক্ষত সঙ্কটের মোকাবেলা করে যখন ‘এসো দেশ গড়ি’ প্রত্যয়ে জোরালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এসব অপশক্তি দেশকে বিশ্বপরিমন্ডলে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, অদক্ষ ও অযোগ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নেতিবিশেষণে আখ্যায়িত করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সভ্যতার নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ দেশে রূপান্তরের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। কিন্তু জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়ার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্ব স্বীকৃত উন্নয়নের রোল মডেল।
অতিসম্প্রতি এই অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্বের নতুন অর্জন ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড’। বাংলাদেশ এবং এশিয়া ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাঁর নেতৃত্বে নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তার বিকাশমানতার জন্য এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মানদ-কে অতি তাৎপর্যপূর্র্ণ বিবেচনায় ইতোমধ্যে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এ পুরস্কার প্রাপ্তির অনন্য তালিকায় আরও রয়েছেন বিশ্ববরেণ্য নন্দিত ব্যক্তিত্ব তথা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোডা, জাতিসংঘের সাবেক শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার সাদাকো ওগাতা, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাসলেট, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসনসহ প্রমুখ।
এটি সর্বজনবিদিত যে, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য অতীব প্রয়োজন দক্ষ জনগোষ্ঠীর। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনগণকে সার্থকভাবে কর্মক্ষম জনসম্পদে রূপান্তর করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট আহরণে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানকে অধিকতর উঁচুমাত্রায় কার্যকর করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭ সূত্র মতে- Human Development Report, ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৫ সালে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম, যা ২০১৪ সালে ছিল ১৪২তম।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, নারী ও শিশু, সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন, সংস্কৃতি, শ্রম ও কর্মসংস্থান ইত্যাদি মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি হিসেবে এসব খাতসমূহে সরকারের বাজেট বরাদ্দের চিত্র বিপুলভাবে সমাদৃত। সুখের বিষয় হচ্ছে, বিগত বছরের তুলনায় এটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উল্লিখিত খাতসমূহে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ২৪ শতাংশ। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হলেও জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে বাস্তবসম্মত কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে লিঙ্গ বৈষম্যের তুলনামূলক ব্যবধান নিম্নমুখী হলেও প্রজনন হার হ্রাস, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, যক্ষ্মা ও এইডসের বিস্তার রোধ, গড় আয়ু বৃদ্ধি ইত্যাদির ক্ষেত্রে উর্ধমুখী অগ্রগতি শুধু দেশে নয়, বিশ্বপরিমন্ডলেও দেশ ও সরকার বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সৃজনশীল, কর্মমুখী, বিজ্ঞানধর্মী, উৎপাদন সহায়ক শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করার লক্ষ্যে অধিকতর মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল, যুক্তিবাদী, নীতিবান, অসাম্প্রদায়িক, কুসংস্কারমুক্ত, পরমতসহিষ্ণু, দেশপ্রেমিক এবং মানবিক নাগরিক যথার্থ অর্থে গড়ে তোলা না গেলে রূপকল্প ২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সঙ্কটমুখী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য নিবিড় শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন অবধারিত।
এটি নিঃসন্দেহে উল্লেখ করার মতো বিষয় যে, নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে মোট ২১,৯৬২.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ তথা Inclusive and equitable quality education and ensuring life long learning for all এর সফল বাস্তবায়নে গ্রহণীয় উদ্যোগ যেমন উপবৃত্তি প্রকল্প, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী, (পিইডিপি-৩), রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচী এবং মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পসহ (৬৪ জেলা) আরও কিছু প্রকল্প অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৪৯,৫৩৯টি। এ সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১,২৬,৬১৫টি (ব্র্যাক সেন্টার, শিশুকল্যাণ ও মাদ্রাসাসহ)। প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা ও হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ১৯৯১ সালে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুপাত ছিল ৫৫:৪৫ এবং যা বিগত সময়ে ছিল প্রায় ৪৯.৬:৫০.৪। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে ২০১৫ সালে ২০.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০০৭ সালে ছিল ৫০.৫ শতাংশ। বর্তমানে এই লিঙ্গ বৈষম্যের সফল হ্রাস ঘটিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির অনুপাত হচ্ছে ৫১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৭ শতাংশ ছাত্র ভর্তির বিপরীতে ছাত্রী ভর্তির অনুপাত হচ্ছে ৫৩ শতাংশ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ১১.২০ কোটি এবং ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ১০.৫৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন অনুধাবন করে ২০২০ সালের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগে উন্নতির লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ অতীব ইতিবাচক। এ লক্ষ্যে মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভোকেশনাল কোর্স চালুকরণের মাধ্যমে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশের পাঁচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ তরুণ প্রজন্মের আত্মকর্মসংস্থান এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে দেশের ভবিষ্যত অবশ্যই অত্যন্ত উজ্জ্বল বিবেচিত হচ্ছে। সরকারী ৫০৯টি এবং বেসরকারী ৭৪৩২টি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশের ৮টি বিভাগীয় সদরে ৮টি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ৩২টি বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নির্মাণের জন্য কার্যক্রম এ সরকারের অভিনব সাফল্যের অন্যতম।
২০১২ সালে ‘World Economic Forum’ কর্তৃক প্রকাশিত ‘Global Gender Gap Report’ অনুসারে বিশ্বে রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮ম। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১১-২০১৫) দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার মৌলিক একটি সূচক ছিল নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিস্তার এবং বিকাশ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অত্যন্ত সার্থকভাবে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম সূচক লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্যের অবসানে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০ শতাংশ সংসদ সদস্যের আসন বাড়িয়ে ৫০ জন নারী সাংসদের অবস্থান নিশ্চিত করে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে মাইলফলক স্থাপন করেছে। সেনা-নৌ-বিমান-পুলিশ-র্যাব ইত্যাদি প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নারীর উচ্চপদে পদায়ন, হাইকোর্ট, সুপ্রীমকোর্টসহ সকল অদালতে নারী বিচারপতি নিয়োগ, জনপ্রশাসন, উচ্চশিক্ষাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নারী সমতা আনয়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বিভিন্ন পত্রিকা ও পুস্তকে প্রকাশিত ‘জননন্দিত শেখ হাসিনা : প্রজ্ঞার অসাধারণ স্মারক’ শীর্ষক আমার নিবন্ধে উল্লেখ ছিল যে, ১৯৯১ সালে প্রকাশিত ‘রাজনৈতিক নারীর অভ্যুদয়-সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ও ভূমিকা-দ্বন্দ্বের সমীক্ষা’ গ্রন্থের প্রণেতা প্রখ্যাত গবেষক রিটা মে কেলি ও মেরী বুটিলিয়ার তাঁদের সমীক্ষায় তিন ধরনের নারীর রাজনৈতিক আচরণের কথা ব্যক্ত করেছেন :- ক. অন্তঃপুরবাসিনী নারী যারা ঐতিহ্যানুগভাবে রাজনৈতিক ও লোকজীবনে শরিক হয় না; খ. লোক-নারী যারা সমাজের স্থানীয় লোকজীবনে শরিক হয়ে থাকে। এটা তারা করে থাকে কোন কোন সময় স্বাধীন ভূমিকা পালনকারী হিসেবে; তবে তারা স্বাধীন রাজনৈতিক ভূমিকা পালক হিসেবে জাতীয় রাজনৈতিক জীবনে শরিক হয় না; গ. সাফল্য অর্জনকারী নারী যারা এমনকি জাতীয় স্তরেও স্বাধীন স্বকীয় সত্তার অধিকারিণী হিসেবে রাজনীতিতে শরিক হয় তথা কৃতী বা সফল রাজনৈতিক নারী হিসেবে নিজের অবস্থানকে অত্যন্ত সুদৃঢ় করে।
উপরোল্লিখিত এই দু’জন খ্যাতনামা গবেষক আরোহ ও অবরোহ উভয় পদ্ধতির অনুসরণে বিশ্বের ছত্রিশজন নারীকে বিশেষভাবে প্রমাণ করেছেন যে, একটা সুনির্দিষ্ট ধরনের রাজনৈতিক ভূমিকায় তাঁরা অভিনব স্থান দখল করে আছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়া তথা সমগ্র বিশ্বে যে মহীয়সী নেত্রী বিশ্ব পরিম-লে সততা, সুশাসন, ধরিত্রী, সমুদ্র, সীমান্ত, মন্দাবিজয়ী দেশরতœ শেখ হাসিনা মানবতার জননী, শিক্ষা জননী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, অসাম্প্রদায়িক-আধুনিক-নান্দনিক-প্রাগ্রসর সমাজ এবং নারী উন্নয়ন-ক্ষমতায়ানের প্রতিকৃতি হিসেবে বিশ্বের সফল রাষ্ট্রনায়কের অগ্রগণ্য নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও গবেষণার নতুন দিক উন্মোচন করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
নেপোলিয়নের অমিয় বাণী ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, বিনিময়ে আমি একটি সভ্য ও শিক্ষিত জাতি উপহার দেয়ার প্রতিজ্ঞা করতে পারব’। মূলত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশেষ করে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে যে অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা আজ বিশ্ব নন্দিত। বিশ্বের শীর্ষ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদদের গবেষণায় যে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে তাহলো- কর্মজীবী মা’দের মেয়েরা উন্নতর জীবনযাপন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনায় সার্থকতা দেখাচ্ছে, ঘরে থাকা মা’দের সন্তানদের তুলনায় অধিকতর উপার্জন ও লিঙ্গ সমতা সম্পর্কের উন্নয়ন উপভোগ করছে এবং সর্বোপরি সম্পদ ও অন্যান্য বিত্ত উপার্জন, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় অংশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করছে। এই নিবন্ধে নারী সাফল্যের নান্দিপাঠ এখানেই শেষ করছি। যাকে উদ্দেশ করে এই নিবন্ধের উপস্থাপনা সেই বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন। জয় হোক বাংলার, জয় হোক শেখ হাসিনার।
লেখক : শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকণ্ঠ