10108
Published on ফেব্রুয়ারি 25, 2018জিয়া অরফারেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে অন্তরীণ হওয়ার পর থেকে জামায়াত-শিবিরের কোর্তা গায়ে দেয়া বিএনপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন মুক্ত খালেদা জিয়ার চেয়ে কারাভ্যন্তরীণ খালেদা জিয়া অনেক বেশি জনপ্রিয়। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মনোজগতে চাঁদ-তারা পতাকা ধারণ করেন এমন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, সাংবাদিক, ব্যুরোক্রেট। ভাবখানা এমন যে, ‘ম্যাডামের’ সাজা হওয়ায় (তাদের ভাষায়) দেশব্যাপী লাখো কোটি মানুষ মাতম শুরু করে দিয়েছে। এক আবুল তো বলেই দিলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ খালেদার পক্ষে চলে এসেছে। উত্তরবঙ্গের এই আবুলের নাম নেয়াটা অসম্মানের মনে করি। কেননা তিনি নব্বই-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখে মোটামুটি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল সত্য, কিন্তু বিএনপি টোপ ফেলায় খালেদা জিয়ার আসরে যোগ দেন এবং কিভাবে মিলিটারি জিয়া ও তদীয় পত্নী খালেদাকে গ্লোরিফাই করার জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে খাটো করতে হবে টক-শোতে বসে প্রতিনিয়ত সেই চর্চাই বেশি করেন। প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোতেও লাইসেন্স তাদের ম্যাডাম দেননি, দিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং সে সব চ্যানেলও প্রতিনিয়ত তাদের ডাকে এবং মিথ্যা বচন প্রচার করে। বিশ্বের অল্প ক’জন সৎ ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতার অন্যতম দেশরতœ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বলার জন্য সরকারের রুটি-হালুয়াভোগী সাংবাদিক নেতারাও কম যান না। প্রেসক্লাব কিংবা ইউনিয়নের ইলেকশনে, এমনকি অগ্রজদের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়নের নাম পাল্টানোর অনৈতিক কাজেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ব্যবহার করা হয়। অথচ কে না জানে, ওদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় নেতারই যখন কোন এক্সেস নেই তখন ওরা ইলেকশনে প্রার্থিতার ব্যাপারেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনও ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব বা ডিআরইউ, সাব-এডিটরস কাউন্সিল, ক্র্যাব, ডিক্যাব কোন ইলেকশনে হস্তক্ষেপ দূরের কথা, পছন্দ-অপছন্দনের কথাও বলেন না। বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে তথ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাই বলে একাধিক ব্যানার টানানো হয়েছিল। এর সঙ্গে ওয়েজবোর্ড দাবির আড়ালে জামায়াত-বিএনপিপন্থী ইউনিয়নও ছিল। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সেগুলো নামিয়ে ফেলি। তারপরও ক্লাবের পূর্ব গেটে একটি ব্যানার লাগিয়ে রাখা হয়। যেদিন তারা এই ব্যানারটি লাগিয়েছিল ঐদিনই রাতে একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের টক-শোতে বিএনপি এবং সাংবাদিক নেতা বললেন তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লাভ কি? পদত্যাগ চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীর। অথচ যারা কথায় কথায় নেত্রীর নাম ব্যবহার করেন তারা কেউ প্রতিবাদ করেননি।
এবং এভাবেই স্বাধীনতার পক্ষের তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সমর্থনকারী সাংবাদিকরা সরকারের বিরুদ্ধে এবং জামায়াত-বিএনপির পক্ষে কনট্রিবিউট করেন। তারা জানেন না, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে শেখ হাসিনার স্থান এতো ওপরে যে তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা যারা করে তারা সুস্থ মানুষ নয়। এমন প্রচারও করে যে, মন্ত্রী এবং সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরও বদলি করার ক্ষমতা রাখে।
ক’দিন আগে দেখলাম শেখ হাসিনার ইতালি সফল-উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে কে কার আগে সরকারের প্রশংসা করে বক্তব্য দেবেন হুড়াহুড়ি লেগে গেল। কিন্তু পরদিনের গণমাধ্যমে লিখিতভাবে সরবরাহকৃত তথ্য, যা খালেদা পরিবারের দুর্নীতির তথ্য, সে সব তথ্য দু’একটি মিডিয়া ছাড়া কেউ প্রকাশ করেনি। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এরা প্রশ্ন করেন ক্যানো? মনে হয় চেহারাইটা দেখানোই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য!
যারা এসব করছেন তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে চেনে, জানেন কিংবা যারা বলেন কারাগারে যাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাদের উদ্দেশ্য কিছু তথ্য :
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহকৃত-
* খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কালো টাকা সাদা করার জন্যে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন। গোটা পরিবার, এমনকি তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও একই কাজে জরিমানা দিয়েছিলেন।
* জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর টেলিভিশনে ভাঙ্গা সুটকেস এবং ছেঁড়া গেঞ্জি দেখানো হয়। তাকে সততার মূর্ত প্রতীক বানানো হলো। এই মুখোশ পরিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে সহানুভূতি আদায় করা।
* হঠাৎ করে এত টাকার মালিক হলো কিভাবে?
* কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা গেল জিয়া পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
* লঞ্চ, টেক্সটাইল মিলস, বিদেশে বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স এগুলো হঠাৎ কোথা থেকে এলো?
* পুরো জিয়া পরিবার অর্থাৎ খালেদা জিয়া, তারেক, কোকো সবাই শুধু অসৎ নয়, তারা চরম দুর্নীতিবাজ, জিঘাংসাপরায়ণ, ক্ষমতালোভী।
* আদালতে খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে এবং সাজা হয়েছে।
* তারা শুধু দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সেই টাকা বিদেশে পাচারও করেছে।
* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস তারেক রহমানের ১২ কোটি টাকা আটক করেছিল।
* আমরা ২০১২ সালে সে টাকা দেশে ফেরত নিয়ে আসি।
* বাংলাদেশের কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর ৮ কোটি টাকা ফেরত দেয়।
* তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। আমেরিকার এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে। ২০১২ সালে এফবিআই-এর কর্মকর্তা ঢাকায় বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এ মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা এবং ২১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
* একইভাবে লন্ডনের ঘধঃ ডবংঃ ব্যাংকে প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
* এ ছাড়া বিশ্বের অনেক জায়গায় খালেদা জিয়ার ছেলেদের টাকা ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
* বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
* মালয়েশিয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
* দুবাইতে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি (বাড়ির ঠিকানা : স্প্রি ১৪, ভিলা ১২, এমির্যাটস হিলস, দুবাই)।
* সৌদি আরবে মার্কেটসহ অন্যান্য সম্পত্তি।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি
* জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, রমনা মডেল থানা মামলা নং : ৮, তারিখ : ৩-৭-২০০৮ টাকা আত্মসাত, ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা, মোট কার্যদিবস : ২৬১ মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্ট এবং আপীল কোর্টে আবেদন : ৮০ বারের বেশি; বেগম জিয়ার সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন একটানা ৬ দিন; আইনজীবীদের সাফাই বক্তব্য উপস্থাপন : ১০ দিন; অনাস্থার কারণে আদালত বদল : ৩ বার, গ্রেফতারি পরোয়ানা ৩ বার, খালেদা জিয়া সময় চেয়েছেন ১০৯ কার্যদিবস; সশরীরে উপস্থিত ছিলেন ৪৩ দিন; মূলত টাকাটা এসেছিল এতিমদের জন্য, এতিমদের জন্য একটি টাকাও ব্যয় করা হয়নি; কোন এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
* ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়।
* ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের সময় মামলা হয়।
* মামলা করেছে দুদক। পরবর্তীকালে দুদক মামলা পরিচালনা করেছে।
* সরকার এবং দুদক সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। আদালত স্বাধীন, তাই একে এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
* যারা বলছেন খালেদা জিয়ার শাস্তির ব্যাপারে সরকারের হাত রয়েছে তারা অযথা সরকারের ওপর দোষ দিচ্ছেন।
* সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকলে ২/৩ বছরের মধ্যে মামলা শেষ হয়ে যেত।
* দুর্নীতি করলে সাজা হবে, এটাই স্বাভাবিক।
* জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা। তেজগাঁও থানা মামলা নং ১৫, তারিখ ৮-৮-২০১১ টাকার পরিমাণ : ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার।
* নাইকো দুর্নীতি মামলা। তেজগাঁও থানা মামলা নং ২০, তারিখ ৯-১২-২০০৭।
* বড় পুকুরিয়া খনি দুর্নীতি মামলা। শাহবাগ থানা মামলা নং ৫৩, তারিখ ২৬-২-২০০৮।
* গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা। তেজগাঁও থানা মামলা নং ৫, তারিখ ২-৯-২০০৭, দুর্নীতি/প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের মূল্যবান সম্পদ তথা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ।
বিএনপি-জামায়াতের ২০০১-২০১৫ হত্যা সন্ত্রাস
* ২০০১ সালের নির্বাচনে গভীর চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়।
* প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজউদ্দিন, খুলনার এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা।
* বাংলাভাই, হরকাত-উল-জিহাদসহ নানা জঙ্গীগোষ্ঠী সৃষ্টি।
* দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রাজশাহী-নওগাঁ অঞ্চলে মানুষ হত্যা।
* ২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় একসঙ্গে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়।
* পিরোজপুরে দুইজন বিচারককে হত্যা।
* জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন বারে বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা।
* ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের র্যালিতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে। ২২ নেতাকর্মী হত্যা আইভী রহমানসহ।
* ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা।
* ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ৫৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়।
* ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ এই তিন বছরে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের হাতে
প্রায় ৫০০ নিরীহ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন।
* প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি, ২৯টি রেলগাড়ি ও ৯টি লঞ্চ পোড়ানো হয়।
* ৭০টি সরকারী অফিস ও স্থাপনা ভাংচুর এবং ৬টি ভূমি অফিসে আগুন দেয়া হয়।
* মসজিদে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় পবিত্র কোরান শরীফ।
* নির্বিচারে রাস্তার গাছ কাটা হয়।
* পেট্রোলবোমা হামলা করে নিরীহ গবাদিপশু পর্যন্ত মারা হয়।
* বিএনপি নেত্রী ৬৮ জনকে নিয়ে ৯২ দিন অফিসে থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও তা-বের হুকুম দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দিত্ব
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এরশাদের সামরিক সরকার আটক করে ১৫ দিন বন্দী রাখে।
* ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নবেম্বর মাসে দু’বার আটক করা হয়।
* ১৯৮৫ সালের ২ মার্চ আটক করে প্রায় তিন মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
* ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন গৃহবন্দী রাখা হয়।
* ১৯৮৭ সালের ১১ নবেম্বর গ্রেফতার করে এক মাস আটক রাখা হয়।
* ১৯৮৯ সালের ২৭ নবেম্বর আবারও গৃহবন্দী করা হয়।
* ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়।
* ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরের সাবজেলে কারারুদ্ধ করে। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা
* মোট ১৯ বার হত্যা চেষ্টা হয়। উল্লেখযোগ্যগুলো :
* ১৯৮৭ সালের ১০ নবেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালনকালে পুলিশের গুলিবর্ষণ।
* এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন।
* জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় ক্রেন দিয়ে গাড়ি তুলে নেয়ার চেষ্টা।
* ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন।
* লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে দু’বার গুলিবর্ষণ করা হয়।
* জনসভা শেষে ফেরার পথে আবার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ।
* ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে গ্রিনরোডে গুলিবর্ষণ করা হয়।
* ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালানো হয় এবং পাথর ছোড়া হয়।
* ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে ৭৬ কেজি এবং জনসভাস্থলে ৮৪ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা হয়।
* সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাড়িতে হামলা করে।
* নওগাঁ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে আক্রমণ।
* সিলেটে ২ দফা গুলিবর্ষণ।
এরপরও যারা বলেন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাদের এই তথ্যগুলোর দিকে তাকাতে বলব। এই খালেদা জিয়া ২০০১ সালের ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু, স্বাধীনতা স্তম্ভ, আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটের কাজ বন্ধ করেছেন। আবারও ক্ষমতায় এলে জাতির গৌরবের মাথা নত না করার অহঙ্কারের সেতুর কাজ যে বন্ধ করবেন না তার গ্যারান্টি কে দেবে? আবারও যে পেট্রোলবোমা বা গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করবেন না সে গ্যারান্টি কি ৯৫% অলারা দেবেন?
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি
জাতীয় প্রেসক্লাব
সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকণ্ঠ
প্রকাশকালঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮