6867
Published on জানুয়ারি 16, 2018গত ৯ বছরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে প্রণীত নীতিমালা, আইন ও বিধিমালাগুলো: সরকার গত ৯ বছরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে বেশকিছু আইন-নীতি ও বিধিমালা তৈরি করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১; জাতীয় শিশু নীতি ২০১১; শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩; মনোসামাজিক কাউন্সেলিং নীতিমালা ২০১৬ (খসড়া); জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নকল্পে কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০১৫; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০; ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৩; বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭।
ভিজিডি কার্যক্রম: দুস্থদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তামূলক কিছু প্রকল্প। যাকে বলা হয় ভিজিডি কার্যক্রম। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভিজিডি কর্মসূচির মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি চক্রে উপকারভোগী নারীদের মাসিক ৩০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ এনজিওর মাধ্যমে উন্নয়ন প্যাকেজ সেবা প্রদান করা হয়।
গত ৯ বছরে ভিজিডি সুবিধাভোগী নারীর সংখ্যা : ২০০৯ থেকে জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ভিজিডি কার্যক্রমের সহায়তা প্রাপ্ত মোট উপকারভোগী নারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ।
দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের ভাতা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। এসময় সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালে পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার গর্ভবতী নারীকে ভাতা প্রদান করেছে সরকার।
কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা: মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত শহর অঞ্চলে নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মা ও তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে তাদেরকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার রাজস্ব তহবিল থেকে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি চালু করে।
অর্জন: কর্মসূচির শুরু থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ২ লাখ ৪৫ হাজার ১২৫ জন কর্মজীবী দুগ্ধদায়ী মাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। ১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মাকে এই ভাতা প্রদান করা হয়।
নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে ‘জয়িতা’: গত ৯ বছরের অগ্রগতির অন্যতম হলো নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ধানমন্ডির রাপা প্লাজার ৪র্থ ও ৫ম তলায় স্থাপিত ‘জয়িতা’ বিপণন কেন্দ্র। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক একটি কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ নভেম্বর ২০১১ সালে জয়িতার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উত্পাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে জয়িতার মাধ্যমে একটি নারী উদ্যোক্তা বান্ধব আলাদা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়। এতে করে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গতি সঞ্চারিত হবে; নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; নারী ও পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাবে। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পর্যায়ক্রমে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হবে।
সম্প্রতি জয়িতাকে একটি স্বতন্ত্র ফাউন্ডেশনে রূপ দেওয়া হয়েছে এবং ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের পাশে এক বিঘা জায়গা প্রদান করা হয়েছে। এই জায়গায় বহুতল জয়িতা ভবন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন হ্রাস করা এবং সেবা কার্যক্রম জোরদারকরণে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা, পুলিশি ও আইনি সহায়তা, মানসিক ও সামাজিক কাউন্সেলিং, আশ্রয়সেবা এবং ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা ওসিসি হতে প্রদান করা হয়। জানুয়ারি ২০০৯ হতে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মোট ২১ হাজার ৪০৩ জন নারী ও শিশুকে ওসিসি হতে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবাপ্রাপ্তির সুবিধার্থে দেশের ৪০টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১২ সালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।
ডিএনএ অধিদপ্তর ও ডিএনএ ল্যাব প্রতিষ্ঠা: ডিএনএ আইন ২০১৪ অনুযায়ী ডিএনএ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ডিএনএ অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে লোকবল ছাড় করা হয়েছে। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর দ্রুত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকায় ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সাহায্য করা ছাড়াও এই ল্যাবরেটরি তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং রানা প্লাজা ধসে অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত এই ল্যাবরেটরিতে মোট ২ হাজার ৮৩৫টি মামলার ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নির্যাতিত নারীদের দ্রুত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকায় ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিসহ ৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৪৩৪টি মামলার প্রেক্ষিতে ১ হাজার ৩০৬টি নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার: নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের আওতায় ১৯ জুন ২০১২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই সেন্টারে টোলফ্রি হেল্পলাইন ১০৯ নম্বরে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু, তাদের পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সকলে প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শসহ দেশে বিরাজমান সেবা এবং সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারে। জুন ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত এই হেল্পলাইনে মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৫টি ফোন গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টোল ফ্রি (১০৯) সেন্টারে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার ২৬৩টি ফ্রি ফোন গ্রহণ করা হয়।
কিশোর-কিশোরী ক্লাব: কিশোর-কিশোরীদের ক্লাবে সংগঠিত করে তাদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য মন্ত্রণালয় জুলাই ২০১১ থেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের ৭টি বিভাগের ৭টি জেলার প্রত্যেক উপজেলায় সকল ইউনিয়নে সর্বমোট ৩৭৯টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিচালনা করে আসছে। জেলাসমূহ হলো—গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁ, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, মৌলভিবাজার ও সিরাজগঞ্জ। ক্লাবে কিশোর-কিশোরীরা মিলিত হয়ে বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা করে। এই ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন শিখানো হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্প’-এর আওতায় সারা দেশের সকল ইউনিয়নে ৪৮৮৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করা হবে।
কর্মরত মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের জন্য হোস্টেল নির্মাণ :মন্ত্রণালয় কর্মজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও আবাসন নিশ্চিত করার জন্য মহিলা হোস্টেল পরিচালনা করে আসছে। ২০১৩ সালে সাভারের বড় আশুলিয়ায় ৪২ শতাংশ জমির উপর কর্মরত মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ১২তলা হোস্টেলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লিখিত সময়ে শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশুর মানসিক বিকাশে গৃহীত কিছু কার্যক্রম: শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে ২৫ প্রকারের ৩,৫০,৫০০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। দুস্থ ও অসহায় শিশুদেরকে আবাসন সুবিধা প্রদানসহ তাদের থাকা খাওয়া এবং পড়াশোনা করানোর মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সারাদেশে ৬টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র (আজিমপুর, কেরাণীগঞ্জ, গাজীপুর, খুলনা চট্টগ্রাম ও রাজশাহী) চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ৬টি জেলা শাখা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের (গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, নরসিংদী ও খাগড়াছড়ি) আওতায় নরসিংদী এবং খাগড়াছড়ি জেলা বাদে অবশিষ্ট ৪টি জেলায় ভবন নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার শিশুকে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান। পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য চা বাগান, সিটি কর্পোরেশনের বস্তি, কেন্দ্রীয় কারাগার, যৌনপল্লী, আইলা ও সিডর বিধ্বস্ত আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল ও হাওর এবং ছিট মহলে ও অন্যান্য অনুন্নত এলাকায় ১০ হাজার Early Leaing সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ১২ লক্ষ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনলাইন টেলিভিশন স্থাপন। শিশুদের শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত শেখানোর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের জন্য পুরস্কার বিতরণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জয় মোবাইল অ্যাপস: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের আর্থিক সহায়তায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্প লাইন সেন্টার বর্তমানে একটি মোবাইল অ্যাপস প্রবর্তন করছে। নির্যাতনের শিকার কিংবা নির্যাতনের আশংকা রয়েছে এ রকম নারী ও শিশুদের তাত্ক্ষণিকভাবে সহয়তা প্রদান করার জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। সাধারণত কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটার পর আমরা সে সম্পর্কে অবগত হই। অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমের জন্য ঘটনা ঘটার সময় প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অপরাধ প্রমাণ করা দুঃসাধ্য হয়। এই সব সমস্যার সমাধানে স্মার্ট ফোনে ব্যবহারযোগ্য জয় মোবাইল অ্যাপস উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই অ্যাপসে পরিবার/বন্ধুবান্ধবের ৩টি মোবাইল নম্বর এফএনএফ হিসেবে সংরক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্প লাইন সেন্টার(১০৯), নিকটস্থ থানা এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় উপপুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কাছে মেসেজ চলে যাবে। যদি কোনো নারী অথবা শিশু সমস্যায় পড়ে তাহলে সে মোবাইল অ্যাপসের জরুরি অবস্থা লিখিত আইকনে স্পর্শ করলে এটি সংরক্ষিত নম্বরসমূহে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠাবে। সংকটাপূর্ণ অবস্থায় জরুরি অবস্থা লিখিত মেন্যুটি ক্লিক করার পরিস্থিতি না থাকলে মোবাইল পাওয়ার বাটন পরপর ৪ প্রেস করলে মোবাইল ভাইব্রেট হবে। এরপর অনেকবার প্রেস করার পর সংক্ষিপ্ত নম্বরসমূহে চলে যাবে। ন্যাশনাল হেল্প লাইন সেন্টার এবং পুলিশের কাছে জিপিএস লোকেশনসহ এই বার্তাটি যাবে। যার ফলে পুলিশ ন্যাশনাল হেল্প লাইন সেন্টার এবং ভিকটিমের আত্মীয়রা তত্ক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এই অ্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাপচারিতা সংরক্ষণ করবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ছবি তুলবে। এই সকল তথ্য মোবাইলে সংরক্ষিত থাকবে। যদি ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকেন তাহলে তথ্যসমূহ (অডিও, ছবি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপসে নির্ধারিত সার্ভারে প্রেরিত হবে। এই সব তথ্য পরবর্তীতে অপরাধ প্রমাণে সহয়তা করবে।