‘কানাইঘাটে পাক সেনাদের সঙ্গে আমাদের ২৫ নভেম্বরের ভয়াবহ যুদ্ধে একজন মেজরসহ ৮৮ জন হানাদার নিহত হয়। আটক করি ২৬ জনকে। অন্যরা পালিয়ে যায়। ভয়াবহ ওই যুদ্ধে আমরাও হারিয়েছিলাম ছয়জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১১ জন মিত্রবাহিনীর সৈনিককে। ওই যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনী আর শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। ওই যুদ্ধের কথা মনে হলে এখনো শরীরের রক্ত টগবগিয়ে ওঠে।’ যুদ্ধদিনের স্...
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর দিনটি ছিল শনিবার। এই দিন বাংলাদেশের সকল রণক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় হানাদার বাহিনী সর্বত্র পিছু হটছিল। পাকিস্তানী বিমান বাহিনী ক্রমশ পঙ্গু হয়ে পড়ছিল। সীমান্ত শহর দর্শনা সম্মিলিত বাহিনীর দখলে চলে আসে। এদিকে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। চতুর্দিক থেকে ভারতীয় ...
মুক্তিযুদ্ধের এই দিন থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের পথে মুক্তিযোদ্ধাদের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনমনীয়, তেজি অগ্রগতির কাছে সমস্ত বাধাই তখন তুচ্ছ। একাত্তরের ৪ ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল মুক্ত হতে থাকে। সে খবর ছড়িয়ে পড়ে আকাশে, বাতাসে, সর্বত্র। সেই বিজয়ের বার্তা যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের করে তোলে আরো দুর্বার, অপ্রতিরোধ্য। ডিসেম্বরে মুক্তিবাহিনী যখন ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে...
২৭ নবেম্বর ১৯৯০। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ঝকঝকে রোদেলা সকাল। এদিন ছিল বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি বাতিল ও চিকিৎসকদের ২৩ দফা বাস্তবায়ন আন্দোলনের এক পর্যায়ের কর্মসূচী- সারাদেশের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং পিজি হাসপাতালের বটতলায় সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় চিকিৎসক সমাবেশ। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, প্রকৌ...
শামসুল আলম খান, ডাকনাম মিলন। আমরা এখন যাঁকে একনামে চিনি শহীদ ডা. মিলন হিসেবে। যিনি ১৯৯০ সালে এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের শেষ দিকের শহীদ। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকেও (বিএমএ) জনপরিচিতি দিয়েছেন মিলন তাঁর আত্মদানের মধ্য দিয়ে। সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে মিলনের জীবন বাজি রেখে লড়াই করার প্রেরণা এসেছে ছাত্ররাজনীতিতে তাঁ...