বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু দেশ গঠনের শুরুতেই দেখা দেয় বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা। একদিকে যেমন দীর্ঘদিনের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত, সদ্য স্বাধীন একটা জাতির, স্বপ্নের মতো জীবনযাপনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল; তেমনি অন্যদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে সাত কোটি মানুষকে তাদের স্বপ্নের মতো স...
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কন্যা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজুড়ে জনমত সৃষ্টি করতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পাকিস্তানি হানাদাররা যখন এদেশের লাখ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে চালানোর চেষ্টা করছিল, তখন একমাত্র ইন্দিরা গান্ধী এর প্রতিবাদ করেছেন। ...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিছক কয়েকটি সরকারি প্রকল্প বা সিদ্ধান্তের নিক্তিতে মাপতে যাওয়া সমীচীন নয়। রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা, আদর্শিক সংগ্রাম, কষ্ট স্বীকার ও আত্মত্যাগ বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। একটি পরাধীন জাতির স্বাধীনতা অর্জনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে আজীবন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে প্রাতঃস্মরণীয় করে রাখতে এই একটি কারণই যথেষ্ট থেকে অনেক ...
১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে বিপুল করতালি, জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু জিন্দাবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শপথ নেওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ১১ সদস্যের মন্ত্রিসভার নাম দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও অবিসংবাদিত নেতা, যার ওপর জনসাধারণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে...
বইছিল স্বাধীনতার সুবাতাস। শ্লোগানে মুখরিত চারদিক, আকাশ-বাতাস, জোর গলায় উচ্চারিত হচ্ছে, “জয় বাংলা”, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জুড়ে যেন অনুরণিত হয়ে চলেছে, প্রতিধ্বনিতে একাকার হালকা শীতের আমেজময় সেই ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল। বেলা দ্বিপ্রহরের পরপরই হাজার দশেকেরও বেশি সদ্য মুক্তির স্বাদ পাওয়া আবেগে উদ্বেলিত বাঙালি সেখানে জড়ো হয়েছিলেন, যদিও তার...