বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে যার নেতৃত্বে, সেই মহান মানুষটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ দুই যুগের সংগ্রাম শেষে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর বাঙালি। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে পড়ে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই রণাঙ্গণ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে, ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের ব...
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয়ের পর থেকেই বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা শুরু করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু গণমানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা বুঝতে পারেন। এরপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তত করতে থাকেন জনগণকে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই পাকিস্তানি প্রশাসনকে কোণঠাসা করে ফেলে জনতা। সাত কোটি বাঙালি...
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত বাঙালি জাতির ওপর ট্যাঙ্ক নিয়ে হামরে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে ঘরে ঘরে বাঙালি নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতে থাকে তারা। রাজাকার-আল বদর-আল শামস বাহিনীর সহায়তায় প্রতিটি এলাকায় তারা স্থাপন করে নারীদের জন্য আলাদা বন্দিশালা। দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার মহোৎসবের মেতে ওঠে পাকিস্তানি পিশাচরা। কিন্তু কেন? কারণ...
ডিসেম্বর মাস এলেই বাঙালি জাতি যেমন বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে, তেমনি বর্বর পাকিস্তানিরাও পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে যায়। তবে ১৯৭১ সালে আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পরও কিন্তু তাদের বর্বর সেনাদের হিংস্রতা থামে নি। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পরও সভ্য হতে পারেনি এই জান্তারা। ত্রিশ লাখ বাঙালি হত্যা ও কমপক্ষে দুই লাখ নারী...
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আপামর বাঙালির অদম্য সাহস ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের অক্ষরে রচিত হয়েছে। হাজার বছরের মুক্তির স্পৃহা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন করে বীর বাঙালি। পাকিস্তানিদের দুই যুগের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে যখন ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু, এরপর প্রতিটি অ...