জিয়াই ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতা

এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকঃ সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছেন, তার দুঃখ রয়ে গেল তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অপরাধে জিয়ার বিচার করতে পারলেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, এমনকি যারা এ মামলার বিবরণী অনুসরণ করেছেন তারা এক বাক্যেই বলতে পারবেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কষ্টি পাথরে প্রমাণিত সত্য। পূর্বে আইনমন্ত্রী এ্য...

১৫ই আগস্ট, ব্যক্তি নয় রাষ্ট্রকেই হত্যার চেষ্টা

আবদুল মান্নানঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর ও তাঁর পরিবারের যে ১৭ জন সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল, তাঁদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। অনেকে মনে করে, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত শত্রুরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। আসলে সেদিন ঘাতকরা শুধু একজন শেখ মুজিবকেই হত্যা করেনি, তাদের লক্ষ্য ছিল একটি রাষ্ট্র...

বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলার নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত মানুষের সুখ-শান্তির জন্য নিজের চাওয়া-পাওয়া, আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে, জেলজুলুম হাজতবাস ইত্যাদিতে নিজেকে বিলীন করে দিতে কার্পণ্য করেননি। অন্যায় অবিচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার রয়েছেন। কোন অন্যায় অবিচার মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার বা মাথানত করেননি এবং আপোসও করেননি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং পরবর্তী বাংলাদেশ

ড. মোহাম্মদ হাসান খানঃ হাজার বছরের পরাধীন জাতিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। তিনি এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন। তার বিনিময়ে স্বাধীন দেশে কেউ তার রক্ত ঝরাবে, এটি ছিল তার কাছে সম্পূর্ণ অকল্পনীয় বিষয়। যার কারণে তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েও অবাধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, সর্বত্র যাতায়াত করেছেন নির্দ্বিধায়। তার পরিবারে...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে

হাসান-উজ-জামানঃ যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌর-যমুনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকা- ইতিহাসের বেদনাদায়ক ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ঘৃণ্য, পৈশাচিক ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের কষ্টার্জিত মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ রাতারাতি ধ্বংস করে ’৭১-এর পরাজিত পাকিস্তান...

অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং সফলভাবে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক এবং অর্থনীতির বাইরের উভয় খাতের গভীরে প্রথিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত সংবাদপত্রের রিপোর্ট এবং প্রকাশিত গ্রন্থে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সহবরাহ, অবকাঠামো পূনন...

বাংলাদেশে আর কোনদিন খুনীদের রাজত্ব আসবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আর কোনদিন খুনীদের রাজত্ব ফিরে না আসার ব্যাপারে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আর কোনদিন খুনীদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনীদের রাজত্ব এ দেশে আর আসবে না, আসতে দেওয়া হবে না। মুজিব আদর্শের প্রতিটি সৈনিককেই এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে চলতে হবে, কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।’ প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী...

পিতা ও কন্যা : ভিন্ন প্রেক্ষিত একই ধারা

শেখর দত্তঃ জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের বহুমুখী অবদান এবং জাতীয় জীবনে সেই সব অবদানের প্রভাব নিয়ে যত ভাবছি, ততই বিস্মিত হচ্ছি। জাতীয় চেতনার ভ্রুণ সৃষ্টিতে, সেই চেতনার ভিত্তিতে জাতিকে একটি স্বাধীন মানচিত্র উপহার দিতে, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বিধ্বস্ত নবজাত দেশে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান গড়তে, জনজীবনকে স্বাভাবিক ও ব...

আমরা কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারব

তোয়াব খানঃ ১৫ই আগস্ট বাঙালির জীবনের ঘোর অমাবস্যার কলঙ্কময় দিন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারবর্গসহ নারী-শিশু নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যা শুধু নয়, বাঙালি জাতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। এদিন সকালের বেতার ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রতিটি পদক্ষেপে ঘাতকচক্র বাঙালি তথা বাংলাদেশবিরোধী অভিসন্ধির ছাপ সুস্পষ্ট করে রেখেছে। ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষণা থেকে শুরু করে জয় বাংলার পরিবর্তে জিন্দাবাদ,...

পাকিস্তানি ভাবাদর্শে ফেরাই ছিল লক্ষ্য

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সরকারগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা পাওয়ার তথ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাওয়ার্ড বি শ্যাফারের (১৯২৯-২০১৭) জবানিতে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হাওয়ার্ড বি শ্যাফার ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ ...

সেই দুঃসময়ের কথা

তোফায়েল আহমেদঃ ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কত কথা কত স্মৃতি আজ মনের চারপাশে ভিড় করে আসে! মনে পড়ে ১৯৭১-এর রক্তঝরা মার্চের ১৭ তারিখের কথা। সেদিন ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে দুপুরে ধানমণ্ডির বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনাকালে এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেন- 'আপনা...

আমার জীবনের প্রিয় দুটি শব্দ

রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনঃ আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় দুটি শব্দ হলো বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ। এই শব্দদ্বয় একটি অপরটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব যেমন কল্পনাতীত ঠিক একইভাবে আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক চিন্তারই ফসল। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় জানতে পারি, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জনক। স্বাধীন বাংলাদেশের রূ...

বঙ্গবন্ধুকে হারানোর দিনঃ শোক পালন করছে জাতি

বছর ঘুরে আবার এসেছে বাংলাদেশের শোকের দিন ১৫ অগাস্ট; গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতি পালন করছে জাতির জনককে হারানোর দিনটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে।  তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুল...

জাতির পিতা ও আমরা

হাসনাত আব্দুল হাইঃ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। এইসব অপরাধের মধ্যে গুরুতর হলো মানুষ হত্যা। এমন হত্যাকাণ্ড হয় জঘন্যতম এবং বর্বরোচিত যখন পুত্র জনককে হত্যা করে। এই হত্যায় শুধু নির্মমতা থাকে, তার সঙ্গে যুক্ত হয় অকৃতজ্ঞতাও। জন্মদাতাকে হত্যা করে যে সন্তান তার বা তাদের পরিচয় নরকের কিটের সঙ্গে তুলনা করলেও যথেষ্ট হয় না। তারা শুধু নরাধম নয়, সমস্ত...

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারঃ জাতির ঋণ শোধ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বুকে সরাসরি গুলি চালিয়েছিল যে নরপিশাচ ঘাতক, অপরাধের ৩৫ বছর পর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে জনকের রক্তের ঋণ শোধ করে বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের, বিচারিক কার্যক্রম, রায় ও ফাঁসির দণ্ড কার্যকর- সব কিছু মিলিয়ে এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। জাতিকে যিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা, সেই জনককে যখন সপরিবারে হত্যা ...

বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান রাজনীতি

আহমেদ আমিনুল ইসলামঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারীরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যাই করা হয়নি- এই বাংলার বুক থেকে, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে তাঁর নাম নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি- তাঁর মৃত্যু হতে পারে না। এ দেশের ইতিহাস থেকে তাঁকে ন...

চক্রান্ত সেদিন যেমন ছিল আজও তেমনি আছে

মুহম্মদ শফিকুর রহমানঃ বাঙালী জাতির ইতিহাসের কালরাত ১৫ আগস্ট তিনদিন পরই। সেদিন যে চক্রান্তে কালরাতের সৃষ্টি হয়েছিল, যে চক্রান্তে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, চক্রান্ত সেদিন যেমন ছিল আজও তেমনি আছে। ভবিষ্যতেও যে থাকবে এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারি না। রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা Women leader of the world, তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মিলিটারি জিয়া ক্ষমতা দখল করে কেবল বিষবৃ...

স্মৃতি যেখানে জীবন্ত

শান্তা মারিয়াঃ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর। বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বাড়ি। ষাটের আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় এই বাড়িটি ছিল সব সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখার জন্য লাখো জনতা এই বাড়িকে তাদের তীর্থভূমিতে পরিণত করেছিল। ১৯৭০-এর নির্বাচনে যখন ত...

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ থেমে থাকার নয়

সিমিন হোসেন রিমিঃ কারাগারে বন্দি জীবনের একাকীত্বের মাঝে একের পর এক গণমানুষের মুক্তির চিন্তার ছবি আঁকেন তিনি মনে মনে। তাঁর অন্তরদৃষ্টি ছুটে বেড়ায় বাংলার এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে। নিজ মাতৃভূমি এবং একই সঙ্গে বিশ্ব রাজনীতির গতি-প্রকৃতিও প্রবলভাবে নাড়া দেয় তাঁর অন্তরকে। পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে ভাবেন পরিবেশ পরিস্থিতি এবং এর অনুষঙ্গ নানা ধরনের মানুষকে নিয়ে। স্বপ্নের জাল বোনে...

সেদিন এলি ছোট্ট ছিল

  স্বাধীন দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু দিন-রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। এসেছেন রংপুরেও। তাঁর ভাষণ শুনতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছিল। বান্ধবী ইয়াসমিনের সঙ্গে গিয়েছিল এলিও। ভাষণ শুনে এলি মুগ্ধ। ভাবছিল, একবার যদি কাছ থেকে দেখতে পারতাম! পরদিন ছিল তাদের মর্নিং স্কুল। স্কুলে গিয়ে এলি জানল, বঙ্গবন্ধু রংপুরেই আছেন। সার্কিট হাউসে থাকছেন। ক্লাসে আর ...