এক বছরের ইউনুস শাসন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিধনের নিষ্ঠুর মহড়া!

525

Published on আগস্ট 2, 2025
  • Details Image

ইউনুস সরকারের এক বছর সংখ্যালঘু নিধনের বর্বর অধ্যায়! “বাংলাদেশ কি আর স্বাধীন? নাকি তালেবানি এক ভয়াল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে—যেখানে সংখ্যালঘু মানেই মৃত্যু, ধর্ষণ আর দেশত্যাগের শঙ্কা?”

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট —মাত্র এক বছরে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা ১৯৭১-এর পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
ইউনুস সরকারের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে চালানো হয়েছে ভয়ঙ্কর ধর্মীয় নিধন, জাতিগত নিপীড়ন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যা।

কী পেয়েছে বাংলাদেশ এই সময়টাতে? পেয়েছে বিভীষিকাময় এক শাসনের ছোবল, পেয়েছে ধর্মীয় উগ্রবাদ, মৌলবাদের উন্মাদনা, সংখ্যালঘু নিধনের ছক ও রাষ্ট্রীয় নীরবতা!

ইউনুস সরকারের শাসনকাল একটি নিষ্ঠুর, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের উত্থান — যেখানে সংখ্যালঘু হওয়াটাই অপরাধ, ধর্মবিশ্বাসই আতঙ্কের কারণ!

এই এক বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হয়েছে পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক সন্ত্রাস, যেখানে উগ্র মৌলবাদীরা হামলা করেছে মন্দিরে, ধর্ষণ করেছে নারীকে, অপহরণ করেছে কন্যাকে, পুড়িয়েছে ঘরবাড়ি, আর রাষ্ট্র থেকেছে নিষ্ঠুর নীরবতায়।

পরিসংখ্যানই সাক্ষ্য দিচ্ছে: সংখ্যালঘুদের রক্তে ভেজা ইউনুসের এক বছর

  • ২,৪৪২টি নির্যাতনের ঘটনা (Aug 2024 – Jun 2025): ধর্ষণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল — সবই রাষ্ট্রীয় নীরবতার পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটেছে।
  • শুধু ৫ আগস্টেই ১,৪৫২টি হামলা! একটি দিনে এমন বর্বরতা প্রমাণ করে, এই সরকার একটি ধর্মীয় নিধনযজ্ঞের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
  • ১৬ দিনে ২,০১০টি আক্রমণ। ৬৯টি মন্দির আক্রান্ত, ১৫৭টি হিন্দু পরিবার ও ব্যবসা ধ্বংস।
  • ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৭ জন সংখ্যালঘু নিহত, ২০টি ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার ঘটনা, ৫৯টি ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা।

তবে কি সংখ্যালঘু মানেই কি আতঙ্ক? বরিশাল থেকে ঠাকুরগাঁও, খিলক্ষেত থেকে কুমিল্লা — জ্বলছে সংখ্যালঘুদের ঘর, পোড়ছে বিশ্বাস!

  • বরিশালের বিশারকান্দিতে এক হিন্দু পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চালানো হয় সন্ত্রাসী হামলা।
  • হবিগঞ্জে মেধাবী কলেজছাত্রী মনপ্রিয়া সরকারকে অপহরণ করে নিখোঁজ করে ফেলা হয়।
  • কুমিল্লায় ঘরে ঢুকে হিন্দু নারীকে উলঙ্গ করে পালাক্রমে ধর্ষণ — রাষ্ট্র নিশ্চুপ!
  • খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছে সরকারি বাহিনী!
  • ঠাকুরগাঁওয়ের মনসা মন্দিরে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙচুর, আগুন, দেশত্যাগের হুমকি।

এ সব ঘটনার পেছনে রয়েছে ইউনুস সরকারের মৌলবাদপুষ্ট প্রশাসন ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রচিন্তা।

রাষ্ট্রীয় উগ্রতা ও বিচারহীনতা: হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান— কারো জন্যই নিরাপত্তা নেই!

ইউনুস সরকার মুখে অসাম্প্রদায়িকতার বুলি দিলেও বাস্তবে সে পথ খুলে দিয়েছে উগ্র ইসলামি চক্রের জন্য। কওমি মাদ্রাসা, জুমার খুতবা, সেনাবাহিনী — সর্বত্র ধর্মের নামে ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিস্তার।

সেনাবাহিনীর সদস্য "হরে কৃষ্ণ" মন্ত্রকে কৌতুকের বস্তু বানিয়ে মন্দির ও বিশ্বাসের অপমান করছে। লালমনিরহাটের ওসি প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের ফাঁসির হুমকি দিচ্ছে — এটাই কি আইনশাসনের নমুনা?

এটা জাতিগত নিধনের সুপরিকল্পিত রূপরেখা!

১৯৭১-এ হিন্দু নিধনের ইতিহাস ফিরিয়ে এনেছে ইউনুস সরকার। এখন শুধু প্রতিপক্ষ নয়, ধর্মীয় পরিচয়ই হয়ে উঠেছে হত্যা ও ধর্ষণের কারণ।
এই সরকার ক্ষমতায় থেকে প্রমাণ করেছে —

বাংলাদেশ আজ ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অভয়ারণ্য, সংখ্যালঘুদের জন্য এক বিষাক্ত শ্মশান! ইউনুস সরকার মানেই মৌলবাদের মুখোশপরা নব্য হানাদার!

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত