328
Published on মে 15, 2024মা ও নবজাতকের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার পর্যায়ক্রমে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ইতোমধ্যে ২০ হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএনএফপিএর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (পিওএ)-এর ১৫টি মূলনীতিকে বাস্তব রূপ দিতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ গ্রহণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি আবারও চালু করেছি।’
বর্তমানে সারাদেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসহ প্রায় ৩০টি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
এর মধ্যে তিন হাজার ক্লিনিকে 'স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স' সেবা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে সরকার ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/ক্লিনিকের মাধ্যমে মাতৃ, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে।
এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র সার্বক্ষণিক নরমাল ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব সেবা দিতে আমরা প্রতি কেন্দ্রে চারজন করে নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়নমন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।