801
Published on অক্টোবর 3, 2023খালেদা জিয়ার স্বামী, জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫, ১৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনার বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি খুনিদেরকে বিচার করা যাবে না সেই কালো ইনডেমনিটি আইন করে। ঐ খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে জিয়া নিজে।
বাংলাদেশের বেদনার দিনটিতে ১৫ই আগস্ট খালেদা জিয়া নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কোন মানবিকতার, উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন?
শুধু কি তাই, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার নামে বরাদ্দকৃত বাড়ি দখল করে পুলিশের থানা বানিয়েছিলো বিএনপি। সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের জন্য আমেরিকায় লোক নিয়োগ করেছিলো বিএনপি নেতারা। শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপের নামের সাথে মিল থাকায় নেদারল্যান্ড থেকে কম্পিউটার ক্রয় বাতিল করে দেশকে বিপদে ফেলেছে খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া খুনি রশিদ ও হুদা কে জনগণের ভোট চুরি করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে পার্লামেন্টে বসায়। খুনি খায়রুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকরি দিয়ে এম্বাসেডর করে। খুনি মৃত পাশা কে প্রমোশন দেয় এবং তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে।
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্ৰেনেড হামলা করে, শেখ হাসিনা, সহ আওয়ামী লীগের নেতা আইভি রহমান সহ ২২ জন নেতাকর্মী হত্যা করে, ৭৪৫জন নেতা কর্মী গ্ৰেনেড হামলায় আহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয় নাই, লাশ হস্তান্তর করতে বাধা দিয়েছে। আর পার্লামেন্টে বলেছে শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে? শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্ৰেনেড নিয়ে নিজেই গ্ৰেনেড মেরেছে। এই ধরনের মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।
খালেদার জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার গেটে তালা দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। চরম অপমান করে।
শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা করার চক্রান্ত করেছে এই জিয়া পরিবার। এরপরও শেখ হাসিনা উদারতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। সবথেকে দামী হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন।
খালেদা ক্ষমতায় থাকতে সাবেক সেনাপ্রধান মুস্তাফিজুর রহমানকে CMH এ চিকিৎসা করতে দেয় নাই। স্ট্রেচারে করে কোর্টে হাজির করতো। বিমান বাহিনী প্রধান জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘড়ি চুরির মামলায় গ্ৰেফতার করে। মাত্র দুইটা কম্বল দেয়, মাটিতে শুয়ে থাকতে হয়। সেনাপ্রধান ও বিমান প্রধানর প্রমোশন ও কেড়ে নেয়।
মোঃ নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, বাহাউদ্দীন নাসিম, মহিউদ্দিন খান আলমগীর সহ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। মেয়েদের উপর বিএনপির সন্ত্রাসী ও পুলিশ নির্যাতন চালায়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করে। অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা দায়ের করে হয়রানি করেছে। সরকারি ও সামরিক বাহিনীর অফিসারদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় কত পরিবার কষ্টের জীবন-যাপন করেছে তার হিসাব নেই।
সন্ত্রাস, জঙ্গি, ঘুষ - দূর্ণীতি, মানিলন্ডারিং, অগ্নীসন্ত্রাসী, বৃক্ষ নিধন, রাস্তা কেটে দেয়া, এজলাসে বোমা হামলায় জজ ও আইনজীবীদের হত্যা, হাওয়া ভবনের দূর্ণীতি, হত্যা চক্রান্ত -- এসব কথা কি সবাই ভুলে গেছে?
এই ধরনের মানুষকে সমবেদনা জানাতে হবে?
বাংলাদেশের মানুষ কি জিয়া পরিবারকে ক্ষমা করবে?
শেখ হাসিনা না হয় মানবিকতা দেখিয়েছেন, আপনার আমার সাথে এইসব ঘটনা ঘটালে কি আমরা ক্ষমা করতাম?