663
Published on মে 14, 2023সারাদেশ যখন ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখনও সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষার বিষয়ে ভাবছে না বিএনপি। বরং এই মহা দুর্যোগের মধ্যেও তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির ছদ্মবেশে নাশকতা করার কর্মসূচি পালন করছে। ১২ মে থেকে সরকার এবং জনসাধারণ সম্ভাব্য সাইক্লোনের ক্ষতি থেকে দুয্যোগপ্রবণ এলাকার জনগণকে রক্ষার জন্য নেমেছে, কিন্তু ১৩ মে দিনজুড়েও বিএনপি পালন করেছে তাদের তথাকথিত কর্মসূচি। এমনকি ১৯ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত সমাবেশের নামে নাশকতা করার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
অবশ্য গণমানুষের বিপদের সময় নোংরা রাজনৈতিক খেলায় মেতে ওঠা বিএনপির জন্য আজ নতুন নয়। করোনার মতো মহামারিতেও তারা সমাবেশ করে করে দেশজুড়ে গণমানুষকে করোনার টিকা নিতে নিষেধ করেছিল, তারা চেয়েছিল টিকা না নিয়ে গণমৃত্যুর শিকার হোক সাধারণ মানুষ, কিন্তু চুপিসারে নিজেরা ঠিকই টিকা নিয়েছিল তারা। গণমাধ্যমে বিএনপি নেতানেত্রীদের সেই করোনার টিকা নেওয়ার ছবি প্রকাশ হয়ে পড়ায় মহামারি নিয়ে বিএনপির নোংরা রাজনীতি ধরে ফেলেন দেশের জনগণ।
শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হলেও, তাতে গা করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর মতো পদে থেকেও এই মৃত্যুর সংখ্যাকে খুবই নগণ্য বলে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। অথচ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত শেল্টার হাউস এবং দুর্গ নির্মাণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এমনকি দুস্থ মানুষদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু করেন তিনি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতার আসার পর, ময়মনসিংহ-নেত্রকানার বৃহত্তর অঞ্চলজুড়ে কালবৈশাখীর ছোবলে নারী-শিশুসহ অনেক মানুষের মৃত্যু হলেও, খালেদা জিয়া কয়েকদিন পরেও ঘটনাস্থলেও যাননি। এমনকি খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ দেবেন জন্য অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণও বিতরণ করতে দেওয়া হয়নি প্রশাসনকে। পরে বাধ্য হয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য সাহায্য পাঠান এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো কোনো দুর্যোগের সময় বিএনপিকে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। কারণ তারা নিজেরা পেশীশক্তি ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল করে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাসী। তাই গণমানুষের জানমাল তাদের কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এই আগুনসন্ত্রাসী নরঘাতকদের থেকে সতর্ক থাকুন। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানবতার জয় হোক, মানবিক সমাজ গঠনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।