1297
Published on ফেব্রুয়ারি 12, 2023বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ইং, রবিবার, দুপুর ২:৩০ মিনিটে ফার্মগেইট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে (যুবলীগ চত্বর) শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান জনাব শেখ ফজলে শামস্ পরশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, রাজপথ কারও একার না। রাজপথেই বিএনপি-জামাতের কুকর্মের জবাব দিবে যুবলীগ। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা জনগণের শান্তির জন্য রাজপথে থাকি, শান্তি সমাবেশ করি। কারণ আমরা রাজপথে থাকলে তারা জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধণ করতে পারে না, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষের সম্পদের ক্ষতি করতে পারে না, মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না, ভাংচুর করতে পারেনা। এজন্য তাদের মাথা ব্যাথা। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেই নাই। আমাদের জন্ম এই রাজপথে, ক্যান্টনমেন্টে না। সুতরাং আমরা রাজপথে থেকেই জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র অপরাজনীতির মোকাবিলা করবো। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, আপনারা ধৈর্যশীল থাকবেন, ওদের কৌশল আমাদেরকে অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসাবে বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করা। ওরা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইবে, বিভিন্ন রকম উস্কানি দিতে চেষ্টা করবে। আপনারা ওদের ফাঁদে পা দিবেন না। ওরা প্রতারণায় এবং প্রোপাগান্ডায় ভীষণভাবে পটু। কিন্তু রাজপথ আমরা ছেড়ে দেব না। আমাদেরকে ব্লাকমেইল করার সুযোগ দেব না। ওরা কিন্তু দিনকে রাত বানাতে এবং রাতকে দিন বানাতে বড় পারদর্শী। মিথ্যার উপরই এই দলটার সৃষ্টি। ওরা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলেছিল, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। সুতরাং মিথ্যা চর্চার ক্ষেত্রে এই দলকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নাই। হত্যা ও মিথ্যাচারের উপর বিএনপির সৃষ্টি। অপরদিকে আমাদের জন্ম হচ্ছে রাজপথে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে করতেই আমাদের জন্ম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশবিরোধী শক্তি, ‘৭১ এর পরাজিত গোষ্ঠী যারা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না সেই গোষ্ঠী আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করছে, তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা করছে, রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের শান্তি বিনষ্ট করছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে ধারণ করে না, তাদের সাথে মানুষের কোন সম্পর্ক নাই। তিনি আরও বলেন, আজকের নতুন প্রজন্ম জাগ্রত, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি-জামাতের অপকর্মের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে। তাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এখন আর তারা মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে নেমে আসে। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আর শান্তি সমাবেশ করব না, নেত্রী নির্দেশ দিলে রাজপথেই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।