1456
Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2023নির্বাচনে যাতে দেশের প্রায় ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ভোট দিতে না যান, সেজন্য আগে থেকেই তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে বিএনপি-জামায়াত। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে চাঁদপুর, ফরিদপুর, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী, পিরোজপুরের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় উগ্রবাদীরা। মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত একসাথে একই প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর কারণে তাদের এই ভয়াবহ রূপ দেখতে পেয়েছে জনগণ। দেশের প্রায় ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভোট থেকে বিরত রেখে ফায়দা লোটার নীলনকশা করে এই নাশকতাকারী চক্র।
২০০১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে আরো জানা যায়, নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে সেসময় দেশের মোট সোয়া একেকাটি সংখ্যা লঘু ভোটারের মধ্যে ৭০ লাখের বেশি ভোটারই হিন্দু। সবগুলো দল থেকে ৩০০ আসনের জাতীয় নির্বাচনে ৬০ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী অংশ নিয়েছে সেই নির্বাচনে। সেসময় নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বিএনপি-জাাময়াতের হাতে সংখ্যালঘুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সংবাদে এসেছে।
এমনকি নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যশোর, মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা, বাগডাঙা, নলডাঙা, বেজপাড়াসহ কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে- ভোটকেন্দ্রে গেলে আর ফেরত আসতে পারবা না কেউ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘুদের। এসব হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয় সেসময়।
পিরোজপুরের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বা দেইল্যা রাজাকারের বাহিনী। চাঁদপুরের কচুয়ার কয়ৈকটি গ্রামে ও বাজারে সংখ্যালঘুদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। এমনকি তাদের বাড়িতে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ পর্যন্ত করা হয়।
ঐতিহাসিকভাবে স্বাধীনতাবিরোধিরা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করে এসেছে এবং ঘৃণা পোষণ করে। একারণে সংখ্যালঘুরাও তাদের প্রতি আস্থাহীনতায় ভোগেন। তাই নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক তাণ্ডব চালিয়ে তাদের ভোটদান থেকে বিরত রাখার অপচেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াত উগ্রবাদী চক্র।