1783
Published on ডিসেম্বর 1, 2022উগ্রবাদী জঙ্গিদের প্রকাশ্য হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতায় আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছিল রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের একটা বিস্তীর্ণ এলাকা। পরবর্তীতে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় কুখ্যাত জঙ্গি বাংলা ভাই ও তার সহযোগী শায়খদের ফাঁস হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তাদের হত্যাযজ্ঞকে শুধু অস্বীকারই করেনি, উল্টো প্রশাসনিক সহায়তা ও টাকা দিয়ে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতো তাদের। তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় নিরপেক্ষ তদন্তে এসব বর্বরতার ছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রশ্রয় এবং তার ছেলে তারেক রহমানের সরাসরি পৃষ্ঠপোষতার তথ্য উঠে আসে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২৬ জুন আদালত এবিষয়ে বলেন, বাগমারায় জেএমবির সূতিকাগার ছিল। আর হামিরকুৎসায় বাংলা ভাইয়ের টর্চার সেল ছিল। জোট সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বাগমারায় জেএমবির উত্থান ঘটে। তাদের অর্থায়ন, আশ্রয়, প্রশ্রয়েই জেএমবি তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে।
২৭ জুনের প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে বাংলা ভাইয়ের জন্য তদবির করে ফোন করেছিলেন মন্ত্রী আমিনুল হক ।
মূলত, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পরপরই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্মম নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। পরবর্তীতে তারেক রহমান এবং হাওয়া ভবন চক্রের সরাসরি অর্থায়ন ও সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন এবং সাধারণ মানুষের ওপর লুটপাট-অত্যাচার চালাতে থাকে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো।
বগুড়া ও শিবির ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে তারেকের আস্থাভাজন হয় জঙ্গি সিদ্দিকুল ওরফে বাংলা ভাই:
বগুড়ায় বাড়ি হওয়ায়, আওয়ামী লীগ দমনের জন্য তারেক রহমান বাংলা ভাইয়ের ওপর আস্থা রাখে এবং তারেকের নির্দেশে তাকে সহযোগিতা দেন বিএনপির ৮ জন মন্ত্রী-এমপি। ছাত্রজীবনে বাংলা ভাই ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল এবং বগুড়ায় শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতো। বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষবাহান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে সে। আসল নাম সিদ্দিকুল ইসলাম।
সর্বহারাবিরোধী অভিযানের ছদ্মবেশে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা এবং সরকারি নির্দেশে প্রশাসনের সহযোগিতা উত্তরাঞ্চলজুড়ে ভয়ংকর সন্ত্রাস কায়েম করে সে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু নির্মূলের মিশন বাস্তবায়নে বর্বরতার পরিচয় দেওয়ায়, তারেক রহমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয় তার।
একারণে দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী সংবাদ প্রকাশিত হলেও, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষটি' বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যান। এমনকি বাংলা ভাইয়ের পৈশাচিক কার্যক্রমে বাধা না দিতে ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের মাধ্যমে প্রশাসনকেও উৎসাহিত করতো তারেক রহমান।
এমনকি জেএমবির সাথে জামায়াত-শিবিরের সংযোগ থাকার নথি পুলিশ হাতে পেলেও, বিএনপি-জামায়াত হাই-কমান্ডের নির্দেশে তা গায়েব করা হয় সেসময়।
বাংলা ভাইকে মেয়র মিনু, এমপি নাদিম ও হেনা, উপমন্ত্রী দুলুর পৃষ্ঠপোষকতা:
৩০ জানুয়ারি ২০০৭ সালের প্রথম আলো পত্রিকা জানায়, ২০০৪ সালের এপ্রিলে শায়খ আবদুর রহমান এবং বাংলা ভাই ট্রাকে করে প্রায় ১৫০ জন কর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে নাটোরে এমপি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বাসভবনে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে। এসময় তাদের কাজে খুশি হয়ে দুলু তাৎক্ষণিকভাবে এক বান্ডিল টাকা উপহার দেয় বলেও তথ্য দেয় বাংলা ভাই।
এছাড়াও, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলার পর জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় তৎকালীন উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা এবং রাজশাহীর তৎকালীন সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সাথে।
পরবর্তীতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে বাংলা ভাই জানায়, বিএনপির সংসদ সদস্য আবু হেনা তার ভাতিজার মাধ্যমে জেএমবির সাথে নিয়মিত যোগযোগ রক্ষা করে চলতো।
জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এক কর্মীর মাধ্যমে এককালীন ৫০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিল মিজানুর রহমান মিনু।
এমনকি সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত রাখার জন্য পুঠিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমানের হাত দিয়ে বাংলা ভাইয়ের কাছে ৩০ হাজার টাকা অনুদান পাঠিয়েছিল বিএনপির সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা। গোয়ালকান্দি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ওসি নিজে এই টাকা বাংলা ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়। এসময় সার্কেল এএসপি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ভাইকে সহযোগিতা করতে রাজশাহীর বিএনপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রী আমিনুল হক:
আটক হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শায়খ আবদুর রহমান জানায়, রাজশাহীর বাগমারায় অভিযানের সময় তৎকালীন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল তার। তিনি বিএনপির নেতাদের নির্দেশ দিয়ে জেএমবিকে সাহায্য করতে বলেছিলেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা পরে এই ঘটনার কথা স্বীকার বলে বলেছেন- আমিনুল হকের কথার বাইরে যাওয়ার সামর্থ তখন কারো ছিল না, তাহলে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতো।
এমনকি তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী নওগাঁর আলমগীর কবিরের সাথেও নিয়মিত কথা হতো এবং তার বাসায় দাওয়াত খাওয়ার কথাও জানিয়েছে বাংলা ভাই। এছাড়াও নওগাঁর এমপি শামসুল প্রমাণিক এবং প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ড. ছালেক চৌধুরীর সাথে নিয়মিত মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের কথাও স্বীকার করেছে বাংলা ভাই ও শায়খ রহমান।
তারা জানায়, বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে বিভিন্ন হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের সহযোগিতার এতো অর্থ উঠেছিল যে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযান শেষ করার পরেও সাত লাখ টাকা বেশি হয়েছিল।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শিশ মোহাম্মদও তত্বাবধায়ক সরকারের সময় মন্ত্রী আমিনুরের নির্দেশে জেএমবি ও বাংলা ভাইকে সহযোগিতা করার কথা বলেছে।
বিএনপি-জামায়াতের হাই কমান্ডের নির্দেশে বাংলা ভাই গ্রেফতারের পরও ছাড়া পায়:
মন্ত্রীদের চাপের কারণে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যও বাধ্য হয়েছিল জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে। এমনকি জঙ্গিদের গ্রেফতারের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হাই-কমান্ডের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দিতেও বাধ্য হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২০০৫ সালে জেএমবি নেতা ও বাংলা ভাইয়ের সহযোগী খামারু আটক হওয়ার পর, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মাধ্যমে তার মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয় তারেক রহমান। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তৎকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার জুডিথ চামাসের পাঠানো গোপন তারবার্তা ফাঁস হওয়ার পর উইকিলিকস জানায়, খালেদা জিয়া মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী জঙ্গিবাদে তারেকের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতার কথা জানিয়েছিলেন জুডিথকে।
এরআগে, ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও তার কন্যাকে হত্যাচেষ্টা সময় এলাকাবাসী বাংলা ভাইকে আটক করে পুলিশে দেয়। তখন চার সপ্তাহ বাগেরহাট জেলহাজতে ছিল বাংলা ভাই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরে ছাড়া পায় সে।
এরপর ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শহরের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা ফাটায় জেএমবি। এই ঘটনায় ১৯ জন নিরীহ মানুষ মারা যায় এবং শতাধিক আহত হয়। কিন্তু জঙ্গিদের আটক না করে তখনকার বিএনপি-জামাত জোট সরকার আওয়ামী লীগের নেতাদের আটক করে হয়রানি করতে শুরু করে।
২০০৩ সালের ১৪ অগস্ট জয়পুরহাটের খেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামে পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে, জেএমবির নেতাকর্মীরা হামলা করে পুলিশের তিনটি অস্ত্র, একটি ওয়্যারলেস সেট ও বেশ কিছু গুলি ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাভাইসহ জেএমবির অনেক নেতাকর্মী আটক হলেও বিএনপি-জামায়াতের সরকারের কিছু নেতার বদৌলতে কয়েক মাসের ব্যবধানে তারা জামিনে বেরিয়ে যায়। ২০০৪ সাল থেকে তারেক রহমানের ছত্রছায়ায় সর্বহারা দমনের নামে আওয়ামী নির্মূলের মিশনে প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তারা।
১৭ আগস্ট বোমা হামলার আগে অন্তত দুই ডজন আওয়ামী নেতাকে খুন করে বাংলা ভাই:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয় জেএমবি। তবে এরআগে, ২০০৪ থেকে ভয়ংকর হয়ে ওঠা বাংলা ভাইয়ের এই বাহিনীর হাতে সেবছর কমপক্ষে ৩২ জন হত্যার শিকার এবং শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গু হয় বলে তথ্য উদঘাটন করে গণমাধ্যম।
তাদের মধ্যে- ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল ওয়াসিম ওরফে ওসমান বাবুকে, ১১ এপ্রিল বাগমারার কনোপাড়ার গোলাম রব্বানী মুকুলকে উপরে লটকিয়ে, ২০ এপ্রিল দূর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজাহার আলীকে, ২২ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগরের বেলঘরিয়ার মোশারর হোসেন, নাটোরের পীরগাছার সাইফুর, ২৩ জুলাই নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ির দীপংকরকে একইভাবে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও ২৭ এপ্রিল নওগাঁর আত্রাই কাশিয়াবাড়ির দীপংকর রায় ও ইউপি দফাদার, এপ্রিল মাসেই দূর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজাহার আলীকে নির্যাতন করলে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন। ১ মে আত্রাইয়ের ভোঁপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ ফরিদ, অজ্ঞাত ৩ ব্যক্তি, রাজশাহীর বাগমারার নীমপাড়ার রাবেয়া ১৩ মে ধর্ষণের কারণে ১৪ মে আত্মহনন করে।
১৫ মে বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নওগাঁরা রানীনগরের সফিকপুরের আবদুল কাইয়ুম বাদশাকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা, ২৪ জুন রানীনগরের সিম্বা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা খেজুর আলীকে টুকরো টুকরো করে কেটে, রাণনিগরের বড়গাছার আফজালকে, ৩০ জুন গাছে ঝুলিয়ে বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয় বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইয়াসিন আলী, ২৫ জুন নাটোরের বাসুদেবপুরে অজ্ঞাতনামা ৩ ব্যক্তিকে হত্যা, ১৪ নভেম্বর রানীনগরের ভেটি ক্যাম্পে ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া, ২৭ নভেম্বর বাগমারার তাহেরপুরের বিষ্ণুপুরে বাসদ (মাহবুব) নেতা আলী আকবরকে, ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি বাগমারার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুরকে হত্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধাকে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়।
এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে বোমা হামলার পর, ১৪ নভেম্বর জেএমবি আত্মঘাতী বোমা হামলায চালিয়ে ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে হত্যা করে। তাদের হামলার প্রকাশ্য শিকার হয়ে পরবর্তীতে প্রাণ হারান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন আজাদ। হামলাকারীদের বাঁচাতে ছাত্রলীগ নেতাদের গণগ্রেফতার করে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর সর্বোচ্চ অপচেষ্টা চালায় বিএনপি-জামায়াত সরকার।
রাজশাহীকে জঙ্গিবাদের আতুঁর ঘরে পরিণত করা বিএনপি নেতারা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে নাশকতা:
রাজশাহীকে জেএমবি ও বাংলা ভাইয়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করা বিএনপি নেতারা এখনো নাশকতার ছক করেই যাচ্ছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচনের আগে ফোন করে এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার নির্দেশ দেয় নাদিম মোস্তফা।
২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর (২০১৮), জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হওয়া সেই রেকর্ডে শোনা যায়- বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারার নির্দেশ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের বলছেন, 'সুযোগ পাইলে বসায় দাও, মাইরে ফালাও দাও.....।'
এছাড়াও ভোট বানচালের জন্য এলাকায় হত্যাযজ্ঞের জন্য ক্যাডার বাহিনী নামায় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও আবু হেনা। তাদের বাহিনী ৩০ ডিসেম্বের ভোটের সময় কেন্দ্র দখলের লক্ষ্যে রাজশাহীর তানোরে নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে। পাঁচন্দর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের হামলায় নিহত হন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোদাচ্ছের আলী। এছাড়াও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে পাকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ কর্মী মিরাজুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।