675
Published on নভেম্বর 30, 2022বিএনপির অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে রামেক হাসপাতাল ঘুরে লক্ষীপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ. এইচ. এম. খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। সভাপতিত্ব করেন রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু। সঞ্চালনা করেন রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু।
সমাবেশে প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ. এইচ. এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে সমাবেশের নামে বিএনপি কোন রকম উচ্ছৃঙ্খলতা করলে বরদাশত করা হবে না। আমাদের বক্তব্য পরিস্কার কোন রকমের উচ্ছৃঙ্খলতা বরদাশত করবো না। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত রেখেছি, আরো রাখবো। তারা (বিএনপি) যেখানে অনুমতি পাবে, সেখানে সমাবেশ করুক। কিন্তু অশালীন কথা, অরাজনৈতিক কথা এটি যেন তারা না বলেন। কোন ভাঙচুর, জানমালের কোন ক্ষয়ক্ষতি বা কোন রকম বাজে চিন্তুা যদি তাদের মধ্যে থাকে, তাহলে তারা যেন সেটা পরিহার করে। তা না হলে আমরা ধরে নিব, তারা পায়ে পা লাগিয়ে লড়াই করতে চান। সেক্ষেত্রে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়ার পরও তারা সেটি গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের লাখো কর্মী ঢাকাতে প্রস্তুত থাকবে। তারা বলছে, ‘১০ তারিখেই আখেরি লড়াই এবং এই লড়াইয়ের পরে তাদের কথামতো দেশ চলবে।’ এগুলো আমরা মনে করি ‘কুঁজোর চিত হয়ে শোয়া বা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা-এই রকম বিষয়। যেটা তাদের সক্ষমতা নেই, সামর্থ নেই, অতীতে কোনদিন করে দেখাতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি বলছে, ‘কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না, নির্বাচন হতেও দেব না।’ এ ক্ষেত্রে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের দল আওয়ামী লীগ সাফকথা জানিয়ে দিয়েছে, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার আর কোন সুযোগ নেই।
বিএনপির উদ্দেশে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যদি নির্বাচনে আসেন তাহলে কিছু আসন পেলেও পেতে পারেন। আর যদি না আসেন, ২০১৪ সালেও আটকাতে পারেননি, ২০১৮ সালেও আটকাতে পারেননি, এবারো ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগকে আটকাতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব গতিতে চলতেই থাকবে, উন্নয়ন হতেই থাকবে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ আরো উন্নত হয়ে যাবে, কোথায় যাবে আমরা হয়তো ভাবতেই পারছি না। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই একটি ধনী রাষ্ট্রের কাতারে পৌছে যাবে ইনশাল্লাহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে কেউ ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে আসলে বাংলার জনগণ, বাংলার মানুষ, রাজশাহীর মানুষ তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে বিএনপি’র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের রাজনীতি রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন আমাদের এই দেশ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো।
মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকারের অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছে, করছে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রাজপথে এই অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা করবো। আমরা রাজপথে থেকেই সকল আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি । অতীতে রাজপথে ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। রাজপথেই আমরা সকল আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থেকে আমরা এই দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা করবো। রাজশাহীতে যদি বিএনপি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে তবে তার দাঁতভাঙা জবাব রাজশাহীর জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পাশে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিচ্ছেন, সমগ্র দেশ তথা রাজশাহীর চেহারা বদলে দিয়েছেন। আগামীতে আরো উন্নয়ন হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো একটা একটা করে সমাপ্ত করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিয়ষক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, ইসমাইল হোসেন, মজিবুর রহমান, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।