1379
Published on নভেম্বর 10, 2022২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকার সময় দেশজুড়ে কমিশন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ঢাকা শহরের ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যেকোনো কাজের জন্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ কমিশন নিতো সে। চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এই বিএনপি নেতাকে সহযোগিতা করতো বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, এমপি খায়রুল কবির কোকন ও তার তথাকথিত এপিএস নুরুদ্দিন অপু।
২০০৭ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদে জানা যায়, গুলশানের উদয় টাওয়ারের মালিক ও ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভুঁইয়ার কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে এক কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছে তারেক রহমান। পরে অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তারেক এটা শিকারও করে। কিন্তু এটাকে চাঁদা হিসেবে নেয়নি, বরং এমনি নিয়েছে বলেও দাবি করেছিল তারেক।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর গুলশান থানায় দায়ের করা এসংক্রান্ত মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মামলার বাদী আমীন আহমেদ একটি সড়কের ঠিকাদারির কাজ করছিলেন। এই তথ্য জানার পর তারেক রহমান তার লোকের মাধ্যমে বনানীর অফিসে ডেকে নিয়ে যায় তাকে। চাঁদা না দিলে ভয়াবহ পরিস্থিতের মুখে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর ভয়ে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর বন্ধু হাইকে সাথে নিয়ে হাওয়া ভবনে গিয়ে এক কোটি টাকার চেক দেন তিনি। কিন্তু চেক নিতে অস্বীকার করে তারেক রহমান। এরপর বাধ্য হয়ে ৪ জানুয়ারি দুটি ব্যাগে ভরে এক কোটি টাকা নিয়ে হাওয়া ভবনে যান তিনি। তারেকের সহযোগী অপু ব্যাগ দুটি ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর তারেক তাকে ফোন দিয়ে টাকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে।