713
Published on নভেম্বর 9, 2022আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে সমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বর্ধিত সভায়। একইসঙ্গে জনসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য যশোর স্টেডিয়ামকে ভেঙে মাঠ বড় করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় শেখ হেলাল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আমরা পালাবো না, ওরা (বিএনপি) পালাবে। ওদের সঙ্গে ২৪ নভেম্বরের পর দেখা হবে। সোজা কথা, ওরা থাকবে নয়, আমরা থাকবো। বাড়াবাড়ি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আমরা কোনো জনসভার জবাব দিতে চাই না। এ দেশ আমাদের, এ দেশ শেখ হাসিনার। যারা এ দেশকে রক্তাক্ত করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, তাদের কোনো ঠাঁই স্বাধীন বাংলার মাটিতে হবে না।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
সভা শেষে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর তার জনসমাবেশকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগম ঘটানো হবে। আগতদের স্থান সংকুলানের জন্য স্টেডিয়ামের উত্তর অংশের সীমানা ভেঙে পার্শ্ববর্তী কলেজ মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আর বলেন, সমাবেশে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।