1168
Published on নভেম্বর 9, 2022বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার কারণে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে অবরোধ, হরতাল, সরকারি সম্পদ ধ্বংস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করা এবং নাশকতায় শতাধিক মানুষ হত্যা ও সহস্রাধিক ব্যক্তিকে পঙ্গু করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবিকা এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। স্কুল কলেজে বোমা মেরে, কয়েকশ স্কুল পুড়িয়ে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যা করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে এই দুর্বৃত্তরা। উপড়ে ফেলে রেললাইন, কেটে দেয় মহাসড়ক, তাদের আগুনে পুড়ে যায় কয়েক হাজার বাস-ট্রাক এবং রেলের বগি ও রেলওয়ে স্টেশন।
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। বেসরকারি সংস্থা সিপিডির অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বলা হয়, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য ছয় মাসে ৪৯ হাজার ১৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশে। শুধু রেল ও সড়ক যোগাযোগ খাতেই ক্ষতি হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। কৃষি ও কৃষিজাত শিল্পে ১৫ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা, রফতানিমুখী বস্ত্র শিল্পে ১৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা এবং পর্যটন খাতে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়।
দেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বিএনপি-জামায়াতের এই নৃশংস নাশকতার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি, কৃষিজাত খাত ও পরিবহন খাতের ক্ষুদ্র উৎপাদকেরা, যার সঙ্গে দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী যুক্ত। এরপরেই আছে রফতানিমুখী শিল্প, যার সঙ্গে অন্তত এক কোটি মানুষের জীবিকার সম্পর্ক। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যায়।
নাশকতার কারণে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পথে বসে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষরা। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যে মেধাবী শিক্ষার্থী বেড়ে উঠছিল, তার অকার মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে স্বপ্ন লুট হয়ে যায় অনেক নিম্নমধ্যবিক্ত পরিবারের। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে রাজনীতির নামে এভাবেই দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।