1046
Published on নভেম্বর 7, 2022২০১৫ সালে অবরোধের নামে দেশজুড়ে বাড়ি ও গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এমনকি স্কুলগামী শিশুদেরও বর্বরভাবে হত্যা করেছে তারা। অবরোধের প্রথম ৩৬ দিনে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে নিহত ৫১ জন ব্যক্তির মধ্যে ১০ জনই শিশু। আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল আরও ২ জন। এছাড়াও ২০ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর এক সংবাদে এই তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, বাড়ি থেকে স্কুল বা প্রাইভেটে যাতায়াতের পথে দুর্বৃত্তদের আতর্কিত পেট্টোল বোমা হামলার শিকার হয় শিশুরা। এতে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে অনেক কোমলমতি প্রাণের, অনেকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে বিছানায় আর্ত চিৎকার করছে। কোনো কোনো শিশুর মৃত্যুতে তাদের পরিবারের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
১৫ জানুয়ারি জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে জানা যায়- রংপুরের মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় ১ শিশু ও ২ নারীসহ ৪ জন পুড়ে মারা যান। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি হন আরো ১৮ জন। মিঠাপুকুর থানার ওসি রবিউল জানান, যারা মারা গেছেন তারা পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন। একটা শিশুর মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, কিন্তু তোলার সময় তা ছাই হয়ে ভেঙে গেছে!
৮ জানুয়ারি জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়- গলির মোড়ে পেট্রোল বোমা হামলায় স্তব্ধ হয়ে যায় ফেনী সরকারি পাইলট স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিকের জীবন। সহপাঠী হৃদয়ের সাথে মাস্টারপাড়া থেকে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার সময়, ডাক্তার গলির মোড়ে, বিএনপি-জামায়াতের অতর্কিত পেট্রোল বোমা হামলার মুখে পড়ে তারা। সঙ্গে সঙ্গে রক্তে ভিজে যায় দুজন। দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে প্রাণ বাঁচানো হয় তাদের, তবে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চোখ ও ব্রেন। অনিকের বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে করে দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট।
১৪ জানুয়ারি জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে জানা যায়- অন্য বছরগুলোতে যেসময় দেশের শিশুরা নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে স্কুলপ্রঙ্গণে কলকাকলিতে মেতে উঠতো, এবার ঠিক তার উল্টো। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার কারণে স্কুল-প্রাইভেট সব বন্ধ হয়ে যায়, ফলে চার কোটির বেশি শিশু ঘরবন্দি হয়ে পড়ে।