960
Published on নভেম্বর 3, 2022রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং গভীর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ সহ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহযোগে শহীদ জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা'র সমাধীস্থলে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার-এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা'র সার্বিক পরিচালনা ও তত্বাবধানে শোকাবহ জেলহত্যা দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব সহ নেতৃবৃন্দ এবং জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল সাংগঠনিক স্তরের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ সহ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে ও সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ সহ শহীদ জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা'র সমাধীস্থলে বেলা ১১.০০ ঘটিকায় উপস্থিত হয়ে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ সহ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও জেলাধীন সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়েও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি মোতাবেক জেলাধীন সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়েও জেলহত্যা দিবস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন অন্তে সমবেত সকলের উপস্থিতিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন-"বিশ্বমানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড '৭৫-এর ১৫ই আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস সহ বিভিন্ন সময়ে এদেশে একটা প্রতিক্রিয়াশীল অশুভ অপশক্তি দেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অশুভ উদ্দেশ্যে বারবার আঘাত হেনে দেশটাকে অকার্যকর এবং অন্ধকার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেষ্টা করে। জাতির পিতার আদর্শের মহা-আদর্শিক শক্তিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা'কে টার্গেট করে বারবার হত্যা করার অপচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি জাতির অপুরণীয় ক্ষতি সাধন করে এবং করার চেষ্টা করে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের সেইসব অশুভ অপশক্তি। এহেন অশুভ চক্রান্তের জায়গায় সেইসব প্রতিক্রিয়াশীল অশুভ অপশক্তি আজও চুপ করে বসে নেই। সুতরাং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সেইসব হায়েনাদেরকে শক্তহাতে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা'র দেখানো পথে ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সন্মান সমুন্নত রেখে জাতির পিতার অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে হাতে হাত রেখে দুর্বার গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে"।
জয় বাংলা; জয় বঙ্গবন্ধু ।